প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কাগজ ও মুদ্রণ শিল্প খাতের কোম্পানি হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড বিদায়ী সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৫ দশমিক সাত শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৬০ লাখ ৯৮ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ তিন কোটি চার লাখ ৯১ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯৪ হাজার ৩৬৮টি শেয়ার ৩৩৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৯৫ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা (লোকসান), আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা সাত পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৩৫ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ নভেম্বর।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে তিন শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ওই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৪৩ পয়সা। ওই সময় মোট লোকসান করেছে এক কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর আগের দু’বছরও কোম্পানিটি লোকসান গুনেছে। তবে ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিলেও ২০১৭ সালে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ২০১৬ সালে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করে ৭২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ২৯ টাকা দুই পয়সা। আর ২০১৭ সালে লোকসান করে ৯৫ পয়সা ও এনএভি দাঁড়ায় ২৮ টাকা ২৫ পয়সা। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে যথাক্রমে লোকসান করেছে এক কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এক কোটি ৮১ লাখ টাকা।
কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কোম্পানির মোট এক কোটি ৯০ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ ও বাকি ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ