বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন কমেছে। কমেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদর ও ইউনিট দর। তবে পতনের মধ্যেও ১০ দুর্বল কোম্পানির শেয়ার দরে ছিল উল্লম্ফন। কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে ২২ শতাংশ হতে ৪০ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দর উল্লম্ফনের কোম্পানিগুলো হলো-ইনটেক, সেন্ট্রাল ফার্মা, খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং, সী পার্ল হোটেল, হাক্কানী পাল্প, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, ম্যাকসন স্পিনিং, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স, ইয়াকিন পলিমার ও দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইনটেক ‘জেড’ গ্রুপভুক্ত। অবশিষ্ট ৯ কোম্পানি ‘বি’ গ্রুপভুক্ত।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইনটেকের শেয়ারদর বেড়েছে ৪০ দশমিক ৪২ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ৩৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, সী পার্ল হোটেলের ৩০ দশমিক ৯১ শতাংশ, সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের ২৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের ২৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ২২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, হাক্কানী পাল্পের ২২ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিংয়ের ২১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে পুঁজিবাজার নেতিবাচক প্রবণতায় ছিল। এ সময়ে মৌলভিত্তির শেয়ারসহ প্রায় সব শেয়ারেরই দর কমেছে। কিন্তু কোন সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই উল্লেখিত কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের নেতিবাচক সংবেদনশীল তথ্য ছিল। কোম্পানিটি গতবছরের তুলনায় এবছর কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতবছর কোম্পানিটি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল। এবছর ২ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক মিলিয়ে ৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তারপরও কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরজুড়ে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারদর লাফালাফি করে। এসব কোম্পানির কারণে পুঁজিবাজারের স্থিরতা বাধাগ্রস্থ হয়। তারপরও নিয়ন্ত্রক সংস্থার টনক নড়ে না। তারা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা কঠোর থাকলে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে দুষ্ট চক্র মাতামাতি করতে পারতো না।
শেয়ারবার্তা / আনিস