পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম সিমেন্টের লভ্যাংশে উন্নতি না হলেও আয়ে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে কোম্পানিটির সম্মিলিতভাবে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। আগের হিসাব বছরে প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিতভাবে ইপিএস ছিল ৯৬ পয়সা।
এদিকে, সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের হিসাব বছরেও কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী ৭ মে সকাল সাড়ে ১০টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। সভার স্থান পরে জানিয়ে দেয়া হবে। এজিএম-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১ এপ্রিল।
গত হিসাব বছরে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের বিষয়ে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজেশ সুরানা বলেন, পুরো সিমেন্ট খাতের জন্যই ২০১৯ সাল অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ও অতিরিক্ত করারোপ সিমেন্ট ব্যবসায় প্রভাব ফেলেছে। তবে এসব প্রতিবন্ধকতার পরও কোম্পানির সার্বিক পরফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক ছিল। পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধি, বাণিজ্যিক উদ্ভাবন ও কস্ট অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে আমাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো এ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রেখে বিনিয়োগকারীদের ভালো ফলাফল উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) লাফার্জহোলসিম শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৪২ টাকা ৫০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৪২ টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল ৩০ টাকা ৭০ পয়সা ও ৫১ টাকা ৬০ পয়সা।
শেয়ারবার্তা / আনিস