দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের (ইআই) কাছে শেয়ার বরাদ্দের জন্য কাট অফ প্রাইস (প্রান্তসীমা) নির্ধারণে ইলেকট্রনিক বিডিং সম্পন্ন করেছে। তবে ইআইদের জমাকৃত অর্থ ক্লিয়ারিংয়ে কিছুটা সময় লাগার কারণে বিডিং শেষ হলেও এখনই কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। আগামী সোমবার কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ ও প্রকাশ করা হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর একজন কর্মকর্তা জানান, সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস অনুসারে বিডিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য আগেই পুরো অর্থ এক্সচেঞ্জের ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিডাররা যে চেক কিংবা পে-অর্ডার জমা দিয়েছেন, সেখানে বিডিংকৃত শেয়ারের পরিমাণ অনুসারে পর্যাপ্ত অর্থ থাকে না। এ কারণে বিডিংকৃত শেয়ারের বিপরীতে পুরো অর্থ জমা হয়েছে কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়ার আগে কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। আগামী সোমবার সকালের মধ্যে এক্সচেঞ্জের ব্যাংক হিসাবে বিডিংয়ের অর্থ জমা হয়ে যাবে। সেদিন বিকালের মধ্যেই কাট অফ প্রাইস নির্ধারণ ও প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ২ মার্চ বিকাল ৫টা থেকে ৫ মার্চ বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা ৭২ ঘণ্টা ওয়ালটনের শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণে বিডিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময়ে ৪৩০ জন ইআই কোম্পানিটির শেয়ার কেনার জন্য বিডিংয়ে অংশ নিয়েছেন। একজন ইআই সর্বোচ্চ ২ শতাংশ শেয়ারের জন্য বিড করতে পেরেছেন। প্রথমবারের মতো ওয়ালটনের কাট অফ প্রাইস নির্ধারণে ডাচ অকশন পদ্ধতির প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে বিডার যে দামে যে পরিমাণ শেয়ারের জন্য বিড করবেন, তাকে সে দামেই শেয়ার নিতে হবে। ফলে কাট অফ প্রাইসের চেয়ে বেশি দামে বিড করলে সংশ্লিষ্ট ইআইকে সেই দামেই কোম্পানিটির শেয়ার নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে ওয়াল্টন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৪তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও বিডিং অনুমোদিত হয়। আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বিএমআরই, ৩৩ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ পরিশোধ ও সাড়ে ৪ কোটি টাকা আইপিও প্রক্রিয়ার খরচ নির্বাহে ব্যয় করবে তারা।
ওয়ালটনের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ট্রিপল এ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। রেজিস্ট্রার টু দ্য ইস্যু প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোম্পানি।
শেয়ারবার্তা / আনিস