বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির দেয়া রফতানি আয়ের তথ্যে কয়েক বছর ধরেই বিশাল ফারাক দেখা যাচ্ছে। ইপিবির তথ্য অনুযায়ী গত অর্থবছর যে পরিমাণ পণ্য ও সেবা রফতানি হয়েছে সে হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশে আসেনি ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ হিসাবের গড়মিল প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা। এতো টাকা যাচ্ছে কোথায়-সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা। এ বিষয়ে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রতিবছর দেশ থেকে কি পরিমাণ পণ্য ও সেবা রফতানি হয়, তার হিসাব রাখে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবি। আর এ রফতানির বিপরীতে দেশে কি পরিমাণ ডলার আসে, সেই হিসাব রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে গত কয়েক বছর ধরেই বড় অঙ্কের গড়মিল থেকে যাচ্ছে এ দুই সংস্থার হিসাবে। ইপিবির হিসাবে গত অর্থবছর প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রফতানি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এর বিপরীতে দেশে এসেছে প্রায় সাড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ দেশে আসেনি ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে ইপিবির তথ্যের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব, পণ্য ও সেবা রফতানির ক্ষেত্রে এর আগের দুই অর্থবছরে দেশে আসেনি প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার বা ৭৩ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৩ অর্থবছরে পণ্য রফতানির সঙ্গে দেশের বাইরে চলে গেছে প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা।
নানা কারণে হিসাবের অল্প গড়মিল গ্রহণযোগ্য হলেও এতো বড় ব্যবধান; নানা প্রশ্নের জন্ম দেয় বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ মোয়াজ্জেম।
কেন হিসাবের এ বিশাল ব্যবধান, তা বের করতে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন।
রফতানির ক্ষেত্রে ঘোষিত মূল্য বা এলসির বিপরীতে সমান পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে কি-না তা প্রাথমিক পর্যায়েই যাচাই বাছাই করার জন্য কেদ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যক ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি স্বয়ংক্রিয় সমন্বিত পদ্ধতি চালুর পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।
শেয়ারবার্তা / হামিদ