উন্নয়নশীল দেশগুলোর করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। জরুরি এই অর্থ সহায়তার মধ্যে স্বল্প সুদে ঋণ, অনুদান এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা রয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে জি-৭–ভুক্ত দেশের অর্থমন্ত্রীরা অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় নিজেরা একমত হন। এরপরই এ সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বব্যাংক। গত নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব আরেকটি মন্দার মুখোমুখি হতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশগুলো যাতে এই স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা করতে পারে এবং এর প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য বেসরকারি খাতের উন্নয়ন করতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা যা করার চেষ্টা করছি, তা হলো রোগের সংক্রমণ কমিয়ে আনা। সংস্থাটি বলছে, ভাইরাসটির প্রভাব মোকাবিলায় দরিদ্রতম ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস।’
মালপাস বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও সংস্থানের প্রয়োজন হতে পারে। প্রয়োজন অনুযায়ী এটি খাপ খাওই নেওয়া হবে।
এই অর্থায়নের অর্ধেক আসবে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) থেকে। আইএফসি মূলত বেসরকারি খাত নিয়ে কাজ করে। এ ছাড়া ৪০০ কোটি ডলার আগের তহবিলে থেকে যাওয়া অর্থ থেকে দেওয়া হবে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯২ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে ৮০ হাজারই চীনের নাগরিক। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজার মানুষ। মৃত মানুষের সংখ্যার সিংহভাগই চীনের। কঠোরভাবে পৃথক্করণ ব্যবস্থা নেওয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে নতুন সংক্রমণ এবং মৃতের হার কমেছে চীনে। চীনের পর এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সরকার জানায়, ৫১৬ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশটির ৫ হাজার ৩২৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩২ জন।
শেয়ারবার্তা / হামিদ