শুধু ঋণ সহায়তা নয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুনভাবে চিহ্নিত বিভিন্ন খাতেও বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কান্ট্রি ডিরেক্টরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) শের-ই-বাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশসহ অর্থ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনগ্রিড ভ্যান ওয়েস এক সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এ আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
এডিবি বাংলাদেশকে প্রায় ২৫.১৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, স্থানীয় সরকার, পরিবহন, শিক্ষা, কৃষি, জল সম্পদ ও বাংলাদেশের সুশাসন এবং আর্থিক বিভাগগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এডিবি এ সহায়তা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এখন অন্যান্য দেশের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে তুলে ধরা করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অর্থনৈতিক আদর্শ থেকে গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতির মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে তা সবিস্তারে ব্যাখ্যা করেন তিনি। বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক মাইলফলক অর্জনে ধারাবাহিক সহায়তার জন্য এডিবিকেও ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।
এদিকে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এডিবির অর্থ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ভাইস প্রেসিডেন্ট ইনগ্রিড ভ্যান ওয়েস সম্প্রতি ব্রিটেনের ফিনান্সিয়াল টাইমসের দ্য ব্যাঙ্কারের নির্বাচনে সেরা অর্থমন্ত্রী (গ্লোবাল এবং এশিয়া প্যাসিফিক) হওয়ার জন্য মুস্তফা কামালকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশে গত এক দশকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
স্থানীয় মুদ্রায় বন্ড জারি ও ব্যাংকিং খাতের এনপিএল কমাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে এডিবি আগ্রহী বলে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানান প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত এনপিএল হ্রাস ও আর্থিক খাত স্বাস্থ্যকর করার নীতিমালার ক্ষেত্রে এডিবি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চায়।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা সূক্ষ্ম ও শক্তিশালী হওয়ার জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক মূলনীতি বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে, যা অদূর ভবিষ্যতে একটি স্থিতিশীল আর্থিক ও মূলধনী বাজারের জন্যও সহায়ক হবে।
শেয়ারবার্তা / মিলন