প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সঙ্গে আজ সোমবার এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর নতুন এ পর্ষদ গঠিত হয়।
নতুন পর্ষদ গঠনের আট দিনের মাথায় প্রথমবারের মতো বিএসইসির চেয়ারমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান ডিএসইর পরিচালকরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, ড. স্বপন কুমার বালা ও খোন্দকার কামালুজ্জামান।
অন্যদিকে, ডিএসইর প্রতিনিধি দলে ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, সালমা নাসরিন, মো. মুনতাকিম আশরাফ, অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ, মো. রাকিবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, মো. শাকিল রিজভী, মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক এবং মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান।
বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন এ সময়ে বলেন, বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা বহুমুখী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সফল ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। তাদের সঙ্গে আছেন পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পরিচালকরা।
তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন্দ্র করেই পুঁজিবাজারের সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের কাছে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। স্বতন্ত্র পরিচালকদের কর্মকাণ্ডের ওপরই নির্ভর করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। সেই সঙ্গে নির্ভর করে বাজারের গতিশীলতা। আমাদের সবার উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া। এজন্য বিএসইসির পক্ষে যে সহযোগিতার দরকার তা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএসইসি বিগত কয়েক বছরে পুঁজিবাজার উন্নয়নে আইনগত ও অবকাঠামোগত বহুবিদ সংস্কার করেছে। এতে পুঁজিবাজারের ভিত অনেক মজবুত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বর্ষ পূর্ণ করবে। এই ৫০ বছরের মধ্যে গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি দৃশ্যমান। বাংলাদেশে ১৫ বছরের উন্নয়নের খাত অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে দুটি খাত- একটি সামাজিক খাত আরেকটি অর্থনৈতিক খাত। সামাজিক খাতে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মা ও শিশুর যত্ন, অর্থনৈতিক খাতের চারটি ক্ষেত্র- ব্যাংক, পুঁজিবাজার, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রো ক্রেডিট। সামাজিক ও আর্থিক খাতের সূচকে বাংলাদেশ অনেকাংশে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে আছে।’
‘পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপির অনুপাত অনুযায়ী বাজার মূলধনের পরিমাণ খুবই কম। বাংলাদেশের জিডিপি ও বাজার মূলধনের অনুপাত ১০০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন সিকিউরিটিজ।’
তিনি আরও বলেন, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের এ সম্ভাবনাময় খাতকে পুঁজি উত্তোলনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে পরিণত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৩০ ও ২০৪১ সালকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টর যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের পুঁজিবাজারকেও সেভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
শেয়ারবার্তা / আনিস