1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
রাইট শেয়ারের অর্থ দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে আইপিডিসি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ এএম

রাইট শেয়ারের অর্থ দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে আইপিডিসি

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেড রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করাসহ রিটেইল, এসএমই ও করপোরেট খাতে ব্যয় করেছে। রাইট অর্থের তহবিল থেকে গ্রাহকদের সাশ্রয়ী হোম লোনও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

কোম্পানিটির ডিসেম্বর প্রান্তিকের প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে আইপিডিসি রাইট তহবিলের ১৪১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার মধ্যে ১৩৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। এর মধ্যে রিটেইল খাতে বরাদ্দকৃত ৪০ কোটি টাকার মধ্যে ব্যয় করেছে ৩৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এসএমই খাতে বরাদ্দ ছিল ৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ব্যয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আর করপোরেট খাতে বরাদ্দকৃত ৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার মধ্যে এ সময়ে ব্যয় হয়েছে ৬০ কোটি টাকা। রাইট অফার ডকুমেন্ট অনুসারে অর্থ হাতে পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে পুরো অর্থ ব্যয় করার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। প্রতিষ্ঠানটি রাইটের অর্থ হাতে পায় গত বছরের ১ আগস্ট। সে হিসাবে এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রাইট তহবিলের অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রাইট তহবিলের পুরো অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির কর্মকর্তারা।

আইপিডিসি ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মমিনুল ইসলাম রাইট অর্থের ব্যবহার সম্পর্কে বলেন, মূলত ব্যাসেল-৩-এর আওতায় মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে আমরা রাইট শেয়ার ইস্যু করেছিলাম। এরই মধ্যে রাইটের পুরো টাকাই ব্যয় করা হয়েছে। এ তহবিল থেকে রিটেইল, এসএমই ও করপোরেট গ্রাহকদের ঋণ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া রাইট তহবিলের বাইরেও প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা গ্রাহকের আমানতের অর্থ থেকেও এ তিন খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মার্চে আইপিডিসি ফিন্যান্সের বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ বিতরণের পর বর্ধিত শেয়ার সংখ্যার বিপরীতে রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে অনুমোদন দেন কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা। আর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৮৮তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাবনায় অনুমোদন দেয়া হয়। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল ট্রিপল এ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। বিদ্যমান দুটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি করে নতুন সাধারণ শেয়ার ইস্যু করা হয়। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে মোট ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৬ হাজার ৮৪০টি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ১৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ৮০ টাকা উত্তোলন করেছে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ছিল ১২ টাকা। এর মধ্যে ১০ টাকা অভিহিত মূল্য ও ২ টাকা প্রিমিয়াম।

রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত প্রায় ১৪১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার মধ্যে সরকারসহ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের অংশ ছিল ৮৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা ৬১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশ ছিল ৩৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা বা ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। অন্য শেয়ারহোল্ডারদের অংশ ছিল ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বা ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ