ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ওরিয়ন গ্রুপের দুই কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড ও ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। এর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মার অবস্থান ছিল তৃতীয়। আর ওরিয়ন ইনফিউশনের অবস্থান ছিল ষষ্ঠ। তবে লেনদেন বাড়লেও গত সপ্তাহে দর হারিয়েছে উভয় কোম্পানিরই।
ওরিয়ন ফার্মা : গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওরিয়ন ফার্মার দর ছির ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। ১৯ ফেব্রুয়ারি এর দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ টাকা ৯০ পয়সায়। ৯ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর কমেছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। রোববার এ শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৪৮ টাকা, বৃহস্পতিবার শেষ কার্যদিবসে যা কমে দাঁড়ায় ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা।
এদিকে, পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির মোট ৭৬ কোটি ৩২ লাখ ১৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির লেনদেনকৃত শেয়ারের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৬১৮।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৪৩ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ১৯ পয়সা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ওরিয়ন ফার্মার সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৬ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ৯৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা। উদ্বৃত্ত পুনর্মূল্যায়নের পর ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৭৩ পয়সা, উদ্বৃত্ত পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া যা ৬৭ টাকা ৫৮ পয়সা।
ওরিয়ন ইনফিউশন : গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ছির ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা। ২৩ ফেব্রুয়ারি এর দর বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ টাকা ৯০ পয়সায়। ১০ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা বা ৬৭ দশমিক ১২১ শতাংশ। গত এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর কমেছে ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ। রোববার এ শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৯১ টাকা ৩০ পয়সা, বৃহস্পতিবার শেষ কার্যদিবসে যা কমে দাঁড়ায় ৮৬ টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ওরিয়ন ইনফিউশনের মোট ৬১ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার টাকার ৬৯ লাখ ৪ হাজার ৯৪৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ২ শতাংশ।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ১ টাকা ৬২ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ৬৬ পয়
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ওরিয়ন ইনফিউশনের ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩৫ পয়সা।
শেয়ারবার্তা / আনিস