টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে পুঁজিবাজারে পতন চলছে। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস এবং চলতি সপ্তাহে চার কার্যদিবস ধরে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। এ পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমল ২০৮ পয়েন্ট। ডিএস৩০ সূচক কমেছে প্রায় ৮২ পয়েন্ট। দৈনিক লেনদেন ৮০০ কোটি টাকা থেকে ৬০০ কোটির ঘরে নেমে এসেছে। এছাড়া পাঁচ কার্যদিবসে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস বুধবার সব খাতই দরপতনের কবলে পড়ে। বিশেষ করে ব্যাংক ও টেলিযোগাযোগ খাতের বড় পতন সূচকের বড় পতন ডেকে এনেছে। তুলনামূলক দর বেড়েছে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতে। বাকি খাতগুলোতে বিক্রির চাপে হাতে গোনা কয়েকটি করে কোম্পানির দর বেড়েছে।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। এ খাতে লেনদেন হয়েছে ৭ শতাংশ এবং খাতটিতে ৫৩ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। ১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা লেনদেন হয় ইন্দোবাংলা ফার্মার। দরপতন হয় ৩০ পয়সা। ওরিয়ন ইনফিউশনের ১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। স্কয়ার ফার্মার ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়, দরপতন হয় তিন টাকা। সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়ে সেন্ট্রাল ফার্মা দর বৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করে।
এরপরে বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১৬ শতাংশ। এ খাতে ৪৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাড়ে পাঁচ শতাংশ বেড়ে হামিদ ফেব্রিকস, পাঁচ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়ে ভিএফএস থ্রেড ডায়িং, পাঁচ শতাংশ বেড়ে রিং শাইন টেক্সটাইল দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের তালিকায় উঠে আসে। এর মধ্যে ভিএফএস থ্রেড ডায়িংয়ের ১৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা লেনদেন হয়।
প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয় ১৫ শতাংশ। এ খাতে ৪৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ছয় শতাংশ বেড়ে বেঙ্গল উইন্ডসর, চার দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে ইয়াকিন পলিমার ও সাড়ে চার শতাংশ বেড়ে দেশবন্ধু পলিমার দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। ন্যাশনাল পলিমারের ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা।
টেলিযোগাযোগ খাতের গ্রামীণফোনের ১৬ কোটি ৬১ লাখ লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে এলেও দরপতন হয় দুই টাকা ৪০ পয়সা। এ খাতের বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লসের দর ৪০ পয়সা কমেছে।
ব্যাংক খাতে ৭৩ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। দর বেড়েছে মাত্র তিন প্রতিষ্ঠানের। ব্র্যাক ব্যাংকের সাড়ে ১৫ কোটি টাকা লেনদেন হলেও তিন টাকা ২০ পয়সা কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে কোম্পানিটি। ব্যাংক এশিয়াও দরপতনের তালিকায় অবস্থান করে। খাদ্য খাতের আরডি ফুডের ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩০ পয়সা।
জ্বালানি খাতের বি ক্যাটেগরির সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের দর ১১ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে কোম্পানিটি দর বৃদ্ধিতে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ইপিএস ৫১ পয়সা লোকসানে ছিল, যা ২০১৮ সালের একই সময়ে দুই পয়সা লোকসানে ছিল।
শেয়ারবার্তা / হামিদ