সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার উভয় পুঁজিবাজারের মূল্য সূচকে ধস নেমেছে। তবে ধসের বাজারেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড হয়ে গেছে ৫ কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিগুলো হলো-সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, ইনটেক, সেন্ট্রাল ফার্মা, ন্যাশনাল ফিড ও মেঘনা কনডেন্স মিলক লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মা ও ন্যাশনাল ফিড ‘বি’ ক্যাটাগরির হলেও ইনটেক ও মেঘনা কনডেন্স মিলক ‘জেড’ গ্রুপের শেয়ার।
সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল: ২০১৮ সালে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ২৬ পয়সা এবং ২০১৯ সালে কমে দাঁড়ায় ১২ পয়সায়। ২০১৮ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় ২ শতাংশ নগদ এবং ২০১৯ সালেও ২ শতাংশ নগদ।
চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৪০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ পয়সা।
ইনটেক: ২০১৮ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১১ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিলেও ২০১৯ সালে কোম্পানিটি কোন লভ্যাংশ দেয়নি। লভ্যাংশ না দেয়ায় কোম্পানিটির স্থান ‘জেড’ গ্রুপে।
চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯) এর ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা।
সেন্ট্রাল ফার্মা : ২০১৭ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিলেও পরের দুই বছরে লভ্যাংশে পতন নামে। ২০১৮ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় ৫ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৯ সালে ১ শতাংশ নগদ।
২০১৭ সালে কোম্পানিটির ইপিএস ১ টাকা ৫ পয়সা হলেও পরের দুই বছরে ইপিএসে ধস নামে। পরের বছর ২০১৮ সালে ইপিএস হয় ৫৩ পয়সা এবং ২০১৯ সালে ইপিএস হয় ৪৮ পয়সা। এদিকে চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৪ পয়সা।
ন্যাশনাল ফিড : ২০১৭ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিলেও পরের দুই বছরে লভ্যাংশ কমে যায়। ২০১৮ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় ৩ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৯ সালে ১ শতাংশ বোনাস।
২০১৭ সালে কোম্পানিটির ইপিএস ১ টাকা ১১ পয়সা হলেও পরের দুই বছরে ইপিএসে ধস নামে। পরের বছর ২০১৮ সালে ইপিএস হয় ৫৬ পয়সা এবং ২০১৯ সালে ইপিএস হয় ১৫ পয়সা। এদিকে, চলতি অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩ পয়সা।
মেঘনা কনডেন্স : কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তালিকাভুক্তির পর কোন বছরই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়নি। দীর্ঘদিন বছর যাবত কোম্পানিটি লোকসানে রয়েছে। কোন বছর লোকসান কমে, আবার কোন বছর লোকসান বাড়ে। লোকসান বাড়া কমার বৃত্তেই কোম্পানিটির বসবাস। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভূত লোকসানের পরিমাণ এর সম্পদের থেকে বেশি। এটি ‘জেড’ গ্রুপের স্থায়ী বাসিন্দা।
শেয়ারবার্তা / আনিস