করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্ব পুঁজিবাজার টালমাটাল। গতকাল মঙ্গলবার বড় দরপতন দেখেছে বেশির ভাগ পুঁজিবাজার। যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডাও জোন্স কমেছে ৯০০ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ। এর আগের কার্যদিবসেও সূচকটির বড় দরপতন হয়, কমে ১ হাজার পয়েন্ট।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারের আরেক সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ কমেছে ৩ শতাংশ এবং নাসডাক কমেছে ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যের প্রধান পুঁজিবাজার লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জভিত্তিক এফটিএসই ১০০ সূচকটি লেনদেন শেষে ২ শতাংশ কমে ১২ মাস আগের অবস্থানে নেমে এসেছে। জাপানের নিকেই সূচক কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিমান সংস্থা, পর্যটন সংস্থা, একই সঙ্গে যেসব সংস্থা চীনের ওপর নির্ভর করে, তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মার্কিন বিমান সংস্থার শেয়ারের দাম গতকাল কমেছে ৯ শতাংশ। নরওয়েজীয় ক্রুজ লাইন হোল্ডিংস এবং ম্যারিয়টের শেয়ারের দর কমেছে ৮ শতাংশ। যুক্তরাজ্যের ক্রুজ কোম্পানি কার্নিভ্যাল দর হারিয়েছে ৬ শতাংশ। জাপানের টয়োটা মোটরসের দর কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামও আবার কমেছে।
চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। চীনের বাইরে অন্তত দুটি বড় দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এখন বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভাইরাসের প্রভাবে বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। কোম্পানির মুনাফা কমতে শুরু করেছে। এত দিন বিশ্লেষকেরা মনে করছিলেন যে চীন দ্রুতই পূর্ণ উৎপাদনে ফিরে যেতে পারবে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালির মতো দেশে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এটি যত না মহামারি অসুখ, তার চেয়ে বেশি অর্থনৈতিক মহামারির রূপ নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতালিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২৮০ জন। মারা গেছেন ৭ জন। সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানিতেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে, ৫৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত।
শেয়ারবার্তা / আনিস