২০১৮ সালে লোকসান হলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশের ২০১৯ সালে ব্যবসায় মুনাফা হয়েছে। আর এই মুনাফার ৬৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসাবে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৮১.৮৩ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির মোট মুনাফা হয়েছে ৯৮ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ৯২১ টাকা। কোম্পানিটি এই মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারপ্রতি ৫৩ টাকা করে অর্থাৎ ৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৭ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা মোট মুনাফার ৬৫ শতাংশ। আর বাকি ৩৪ কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ১২৪ টাকা বা ৩৫ শতাংশ রিজার্ভে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ব্যবসার ৭০ শতাংশই কনজুমার হেলথকেয়ারের। বাকি ৩০ শতাংশ ফার্মাসিউটিক্যালের। দীর্ঘ দিন লোকসানের কবলে থাকা কোম্পানিটির চট্টগ্রামস্থ ফার্মাসিউটিক্যালসের ইউনিট ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেয়া হয়। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের মুনাফা বাড়বে এই আশায় তখন কোম্পানিটির ফার্মাসিউটিক্যালসের ইউনিট বন্ধ করা হয়।
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ফার্মাসিউটিক্যাল ইউনিট বন্ধ হওয়ার কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া এক হাজারের বেশি কর্মীকে যথাযথ প্রাপ্য পরিশোধ করে কোম্পানিটি। আর একারণেই ২০১৮ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৫২.৭৫ টাকা বা ৬৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার ১৮৪ টাকা। এরপরও কোম্পানি ওই বছর রিজার্ভ থেকে শেয়ারহোল্ডারদের ৫৩০ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ৫৩ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাৎ বছরটিতে কোম্পানিটি লভ্যাংশের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের ৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ৬১ হাজার ৭৯৭ টাকা দিয়েছিল।
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৮১.৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫.৬৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১.৬৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সবশেষ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮৮১.৪০ টাকায়।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল