এস্কয়্যার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অর্থ ব্যবহার বিষয়ে তদন্ত করতে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসকে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসকে তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এস্কয়্যার নিটের আইপিও ফান্ড ব্যবহারের তদন্তে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো.সাইফুর রহমান।

জানা গেছে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের থেকে উত্তোলিত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিয়ে এস্কয়্যার নিট কম্পোজিটের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। এস্কয়্যার নিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়েদের কনস্ট্রাকশন কোম্পানি দিয়ে ভবন নির্মাণ করা হলেও তা সবার উদ্দেশ্যে

প্রকাশ না করায় এই প্রশ্ন উঠেছে। এস্কয়্যার নিট বিএসইসিকে না জানিয়ে আইপিও ফান্ডের ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে ১০০ কোটি ৪২ লাখ টাকা পিনাকল কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মাধ্যমে ব্যয় করেছে। এরইমধ্যে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৪১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে কনস্ট্রাকশন কোম্পানিটিকে গত অক্টোবরের মধ্যেই ৫৪ কোটি ৯ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। যে কনস্ট্রাকশন কোম্পানিটি গঠন করা হয় ২০১৮ সালের আগষ্টে।

এস্কয়্যার নিট কর্তৃপক্ষ পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের ফান্ড ব্যবহার করছে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পিনাকল কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে। পিনাকল কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়্যারম্যান আয়েশা হাবিব এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামান্না হাবিব হলেন এস্কয়্যার নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: এহসানুল হাবিবের মেয়ে।

আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস) অনুযায়ি, রিলেটেড পার্টির সঙ্গে লেনদেনের বিষয় আর্থিক হিসাবে প্রকাশ করতে হয়। তবে এস্কয়্যার নিট কর্তৃপক্ষ প্রায় ৯ মাস ধরে পিনাকল কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ভবন তৈরী করলেও তা প্রকাশ করেনি। এরইমধ্যে কয়েকটি প্রান্তিক (কোয়ার্টার) আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।

এরই মধ্যে বিএসইসি কোম্পানিটির আইপিও ফান্ড ব্যবহার বিষয়ে তদন্ত করতে এস্কয়্যার নিট কম্পোজিটে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এসকোয়্যার নিট যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি শেয়ার ৪৫ টাকা ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০ টাকা করে ইস্যু করে। যে

কোম্পানির শেয়ার দর সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে ৩১.২০ টাকায় দাড়িঁয়েছে।

শেয়ারবার্তা/সাইফুল

বিজনেস আওয়ার/২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০/এস