সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার উভয় পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে অবনতি হয়েছে। এদিন উভয় বাজারের সুচক কমেছে, কমেছে লেনদেনও। আজ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। তবে বেড়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার দর। গ্রামীণফোনের দর উল্লম্ফনে ঠেকিয়েছে সূচকের বড় পতন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এদিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৪ পয়েন্টের বেশি। কিন্তু গ্রামীণফোনের শেয়ার দর বেড়েছে ২৪ টাকা বা প্রায় ৮.১২ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দরে উল্লম্ফনের কারণে আজ ডিএসই’র প্রধান সূচকে যোগ হয়েছে প্রায় ২১ পয়েন্ট। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের শেয়ার দর না বাড়লে ডিএসই’র প্রধান সূচকের পতন হতো প্রায় ৫৫ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রামীণফোন আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করাতে কোম্পানিটির শেয়ার দরে বড় উল্লম্ফন দেখা দেয়। এটি লেনদেনের প্রথমভাগে বিক্রেতা সংকটে পড়ে হল্টেড হয়ে যায়। তবে লেনদেনের কিছুক্ষণ পর ধীরে ধীরে ক্রেতাদের ভিড় জমতে থাকে এবং হল্টেড ছুটে যায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, গ্রামীণফোন আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কিস্তির টাকা পরিশোধ করাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে বৈরীভাব কাটার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে কোম্পানিটির ব্যবসায় কোন বাধা থাকবে না। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ারে ঝুঁকছেন। ফলে কোম্পানিটির শেয়ার দরে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে।
তবে গ্রামীণফোনের এক কর্মকর্তা জানান, কোম্পানিটি প্রথম পর্যায়ে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। পরবর্তীতে আরও টাকা পরিশোধ করতে হবে। এতে কোম্পানির আয়ের উপর হঠাৎ করে অযাচিত চাপ সৃষ্টি হবে। এ চাপ বহন করতে কোম্পানিটিকে অনেক বেগ পেতে হতে পারে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ