প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে বিমান খাত। এরই মধ্যে তাদের যাত্রী অনেক কমেছে ফলে আয়ও কমেছে। এই বিমান খাতে ক্ষতির পরিমাণ ২৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (আইএটিএ)।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন কমে গেছে অন্তত ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। আইএটিএ’র ধারণা ছিল, এ বছরও বিমানের যাত্রী চাহিদা বাড়বে কিন্তু সেই বক্তব্য সংশোধন করে তারা জানিয়েছে, গত এক দশকের মধ্যে, অর্থাৎ ২০০৮-২০০৯ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর থেকে প্রথমবারের মতো এ বছর যাত্রী পরিবহন কমছে।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডে ২ হাজার ২২৩ জন মারা গেছেন। এর বাইরে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১১ জন। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার।
প্রাণঘাতী করোনার জন্য কয়েক ডজন এয়ারলাইন তাদের চীনগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে। এছাড়া প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে চীনের অন্তত ৭৮ কোটি মানুষকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় রেখেছে জিনপিং প্রশাসন। বাতিল করা হয়েছে দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ট্যুর।
আইএটিএ’র কর্তৃপক্ষ বলছে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন পর্যন্ত চীনেই বেশি। কিন্তু এটি এশিয়ার অন্যান্য দেশে আরও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়লে এয়ারলাইন্সগুলোর ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। এই সতর্কবাণীর সত্যতা এরই মধ্যে অনুভব করতে শুরু করেছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা কান্তাস এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, করোনা সংকটে এই আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ভাগে তাদের কর-পূর্ব মুনাফা একশ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম হতে পারে। এছাড়া এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে তাদের আয় ২১৬ মিলিয়ন ডলার কমে যাবে।
আইএটিএ’র মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলেকজাঁদ্র দ্য জুনিয়াক বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে চাহিদার তীব্র মন্দায় বিমান সংস্থাগুলো, বিশেষ করে চীনা বাজারের সংস্পর্শে আসাদের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে। ২০২০ সাল এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য খুব কঠিন একটি বছর হতে চলেছে বলেও জানান তিনি। সূত্র: সিএনএন
শেয়ারবার্তা /