1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ মানছে না ১৫ ব্যাংক
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ এএম

আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ মানছে না ১৫ ব্যাংক

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
bank

ব্যাংকগুলো পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ২ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ১৫ ব্যাংক এখনো বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। এর মধ্যে কোনো কোনো ব্যাংক এখনো ১১ শতাংশ সুদে আমানত নিচ্ছে। এতে সুদ কমানো ব্যাংকগুলো আমানত হারানোর শঙ্কায় পড়েছে। কারণ সুদ কমানো অনেক ব্যাংকের আমানত ইতিমধ্যে বেশি সুদ দেওয়া ব্যাংকগুলোতে চলে যেতে শুরু করেছে। বিভিন্ন ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

আগামী এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামানোর সময়সীমা বেধে দিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে আমানতের সুদহার ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) সিদ্ধান্ত নেন যে, পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে আমানতের বিপরীতে ৬ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিলে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে কার্যকর করা হবে। এই সিদ্ধান্তের পর বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংক আমানতের সুদ কমিয়ে এনেছে। সরকারি ব্যাংকগুলো অবশ্য আগেই আমানতের সুদ কমিয়েছে। তবে এখনো প্রায় ১৫টি বেসরকারি ব্যাংক আমানতের সুদ ৬ শতাংশে নামায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো বেসরকারি খাতের পদ্মা (সাবেক ফারমার্স) ব্যাংক ৪০০ দিন মেয়াদে সাড়ে ১১ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক ৬ মাসের জন্য সাড়ে ৯ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ও ইউনিয়ন ব্যাংক এক বছর মেয়াদে ৯ শতাংশ, ইউসিবিএল তিন মাস মেয়াদে ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, বেসিক ব্যাংক ২০০ দিন মেয়াদে সাড়ে ৮ শতাংশ সুদে আমানত নিচ্ছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বছর মেয়াদে ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক তিন মাস মেয়াদে ৮ শতাংশ, এবি ব্যাংক ৩ ও ৬ মাস মেয়াদে ৭ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এক বছর মেয়াদে ৭ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। এ ছাড়া সাউথইস্ট ব্যাংক ১০০ দিন মেয়াদে ৭ শতাংশ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক তিন বছর মেয়াদে ৯ শতাংশ সুদে আমানত নিচ্ছে। এভাবে আরও কয়েকটি ব্যাংক ৬ শতাংশের বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করে চলেছে।

এখনো ১১ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করছে কোনো কোনো ব্যাংক। এর ফলে আমানত নিয়ে টানাটানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম বুলবুল বলেন, ‘আমানতের সুদহার কমাতেই হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। যেহেতু ঋণের সুদ কমাতে হবে, তাই আমরা আমানতের সুদ কমাতে শুরু করেছি। শিগগির সব আমানতে সুদ কমে যাবে।’

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) মতিউল হাসান বলেন, বেশির ভাগ আমানত পণ্যে সুদ কমানো হয়েছে। অন্যগুলোও কমানো হবে।

অন্য ব্যাংকগুলোর পক্ষে বলা হয়েছে, আমানত চলে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা সুদ কমাচ্ছে না। তবে কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি শাহজালাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ও ব্যাংক এশিয়া গত জানুয়ারিতেই সুদহার কমিয়েছে। নতুন করে আমানতের সুদহার কমিয়েছে ইস্টার্ণ, ঢাকা, মার্কেন্টাইল, প্রাইম, সাউথইস্ট, ইউসিবি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, দি সিটি, এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামীসহ কয়েকটি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে, আমানত নিয়ে আবারও একধরনের টানাটানি শুরু হয়েছে। সুদ কমানোর কারণে প্রতিনিয়ত তাদের বড় অঙ্কের আমানত উত্তোলিত হচ্ছে। অন্য ব্যাংকগুলো বেশি সুদে তাদের আমানত নিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ করা হলেও এসএমই ও খুচরা ঋণকে এই হারের বাইরে রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে দাবি জানিয়েছে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। পাশাপাশি কারও আমানতের সুদ কমানোর সুযোগ নিয়ে অন্যরা যাতে বেশি সুদে তাদের আমানত নিয়ে না যায়, তা তদারকির জন্যও গভর্নরকে অনুরোধ করেছে এবিবি।

গত ডিসেম্বরে ব্যাংকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও এবিবির সঙ্গে এক বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে সব ঋণে ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকর হবে। আর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আমানতের সুদ হবে ৬ শতাংশ। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপন জারি করবে। তবে এখনো সুদহার নিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে সরকারি ব্যাংকগুলো আমানত নিতে পারবে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে। আর ৬ শতাংশ সুদে আমানত পাবে বেসরকারি ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো। যদিও এর ফলে ব্যাংক খাতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে সন্দিহান অর্থনীতি বিশ্লেষকেরা।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ