অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।
তিনি আজ বুধবার বিকেল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সরকার ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছিল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে আনা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে, তাই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও বেশি। দেখি এটা নিয়েও কিছু করতে পারি কি না। সঞ্চয়পত্র নিয়ে দেশে কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। আমরা তো এগুলো চাইনি। ব্যাংক খাতে সুদের হার এক অঙ্কে নিয়ে আসাটা অনেক বড় কাজ। এটা করতে গেলে সম্পর্কিত সব উপকরণে হাত দিতে হবে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম করা হয়েছিল সাধারণ মানুষের জন্য। কিন্তু এগুলোতে বড় ধরনের অপব্যবহার হয়েছে। ব্যাংকের সুদের হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে ব্যাংকে টাকা রাখলে এত বেশি সুদ দেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে এক জায়গায় যেতে না পারলেও কাছাকাছি যাওয়া যাবে। সরকারকে কর না দিয়ে সব (মুনাফা) নিয়ে যাওয়ার উদাহরণ খুব বেশি দেশে নেই বলে তিনি মনে করেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয় ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার কমানোর বিষয়টি। এ–সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার হবে ৬ শতাংশ, যা এত দিন ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ছিল।
ডাকঘরে চারভাবে টাকা রাখা যায়। ডাকঘর থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাব খোলা যায়। আবার ডাক জীবন বীমাও করা যায়। সুদের হার কমানো হয়েছিল ডাকঘরের সঞ্চয় স্কিমের মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাবে। সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদের হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস