1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
পুঁজিবাজার মিথ্যা রিপোর্টের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণকারীদের শাস্তি দাবি
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ এএম

পুঁজিবাজার মিথ্যা রিপোর্টের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণকারীদের শাস্তি দাবি

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ব্যক্তি পর্যায়ে পুঁজিবাজার বাজার ভালো করা যাবে না। তাই বাজার ভালো করতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বাজার। এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাজার আরও ভালোর দিকে যাবে।

মঙ্গলবার এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে আলোচকদের আলোচনায় এমন কথা ওঠে আসে।

খুজিস্তা নুর-ই-নাহারিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমান এবং আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাব্বির আহমেদ, এফসিএ।

অনুষ্ঠানে রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারকে ভালো করতে হলে অবশ্যই সরকারের এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে বাজার ভালো করা যাবে না। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে সরকারকেই সাপোর্ট দিতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বাজার। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাজার-সংশ্লিষ্টদের বৈঠক, এডিবির ঋণসুবিধা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর তহবিল সরবরাহের ঘোষণা এবং অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে বাজার বড় ধরনের উত্থান দেখা যাচ্ছে। এজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই।

আবার আইপিওর ক্ষেত্রে বড় বিষয় হচ্ছে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি। বিনিয়োগকারীর কাছে কোম্পানির অডিট রিপোর্টগুলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকতে হবে। আর যারা মিথ্যা অডিট রিপোর্ট দিয়ে বাজার থেকে অর্থ নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ২০ বছর ধরে আমরা বলে আসছি ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদি ও ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থ বিনিয়োগ করতে। কিন্তু কিছুতেই সেটা মানা হচ্ছে না। ব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত যতবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা এখন বেশিরভাগই ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। যদি ঋণখেলাপি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় সেক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেওয়া বন্ধ করতে হবে। যদিও এখন ব্যাংকের যে অবস্থা খেলাপি ঋণ থেকে বেরিয়ে আসা কষ্টকর। আর বিশ্বের কোনো দেশে আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর মতো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়া হয় না। এখন মূল কথা হচ্ছে, বাজার ভালো করতে হলে করপোরেট ট্যাক্স কমাতে হবে, ভালো কোম্পানি আনতে হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, শেয়ার কারসাজি বন্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সাব্বির আহমেদ বলেন, গত এক মাসে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বাজার উন্নয়নে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এটা অবশ্যই বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক। তবে এটাও খেয়াল রাখতে হবে যাতে বাজার নেতিবাচকের দিকে না যায়। কথা হচ্ছে, কেন বাজার ভালো করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হলো। কারণ বাজার দেখভাল করার জন্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন হয়, এটি আসলে আমাদের বড় ব্যর্থতা। তাই ভবিষ্যতে নিজ নিজ ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে একটি গতিশীল পুঁজিবাজার সৃষ্টি করা যায়। আবার কয়েক বছরে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির সূচক বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু সে হিসেবে বাজারে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। তবে এখন অর্থনীতির কিছু সূচক নেতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। তবে এটি হওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাজারে এখন তারল্য সংকট ও সুশাসনের অভাব রয়েছে। তবে বাজারের বড় সমস্যা হচ্ছে সুশাসন। এটি বাজারকে গতিশীল করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সুশাসনের কারণেই বাজারে এখন তারল্য সংকট বিরাজ করছে। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ারবার্তা / আলিম

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ