বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে মোট ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত রয়েছে, যা ২০৩০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে হাবিবুর রহমানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মামুনুর রশীদ কিরণের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দৈনিক ২৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়, এর সঙ্গে ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানিকৃত গ্যাস (এলএনজি) মিলিয়ে বর্তমানে দৈনিক ৩১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাস কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
গ্যাস নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রহণ করা পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপেক্স ২০১৯-২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-২০৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-২০৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া দৈনিক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ল্যান্ড বেইসড এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পিজিবিলিটি স্টাডি ও টার্মিনাল ডেভেল্পমেন্ট সিলেকশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) এর আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এস এস ০৪, এস এস ০৯, এস এস ১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস ১২ এ নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অগভীর সমুদ্রের ব্লগ ০৪ এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আবিষ্কৃত গ্যাস ফিল্ড ভোলা নর্থ- এ গ্যাস উত্তোলনের জন্য একটি উন্নয়ন কূপ খনন, প্রসেস প্ল্যান্ট স্থাপন এবং পাইপ লাইন নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ