স্বাভাবিক গতিতে ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সার্কুলা জারির পর টানা পাঁচ কার্যদিবস উত্থানের পর মঙ্গলাবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। আজকের পতনের মাধ্যমে সমন্বয় হয়েছে পুঁজিবাজারে। আর সমন্বয়ের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা ১ বছর ১৮ দিন বা ২৫০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি আজকের চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল। ওইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৪ কোটি টাকার।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছ ৪ হাজার ৭৪০ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২, ডিএসই-৩০ সূচক ৮ এবং সিডিএসইটি সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০৮১, ১৫৯১ ও ৯৫১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩২টির বা ৩৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৮৮টির বা ৫৩ শতাংশের এবং ৩৫টি বা ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৯০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর। আজ সিএসইতে ৬৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্দা অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য শুধু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে প্রত্যেক ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ ফান্ড গঠন করতে পারবে মর্মে গত ১০ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে। ওই সার্কুলারের পর ১৩ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ কার্যদিবস টানা উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারে। একইসঙ্গে প্রতি কার্যদিবসেরই বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। তবে আজ (১৮ ফেব্রুয়ারি) পতনের মাধ্যমে কিছুটা সমন্বয় হয়েছে পুঁজিবাজারে। পতন হলেও আজ দুই বাজারে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিএসইতেই হয়েছে ১ হাজার ২১ কোটি টাকা।
এরও আগে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ জানুয়ারি উচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং কয়েকটি নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠকের পর ১৯ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ে। কিন্তু পরবর্তীতে পুঁজিবাজার আবার মন্দায় পতিত হয়। সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেক ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা করে ফান্ড গঠনের জন্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সার্কুলার জারি করে। যার ফলে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরতে শুরু করে পুঁজিবাজার।
শেয়ারবার্তা/সাইফুল