টেলিযোগাযোগ খাতের সব থেকে বড় কোম্পানি গ্রামীণফোন (জিপি) শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের জন্য ‘সাইন-লাইন’ ডিজিটাল কেয়ার চালু করেছে। এই ডিজিটাল কেয়ারের মাধ্যমে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা ভিডিও কলে সরাসরি গ্রামীণফোনের কাস্টমার কেয়ারে নিজের ভাষা প্রকাশ করতে পারবেন।
রোববার রাজধানীর গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট ও সেলফ সার্ভিস ডিজিটাল কেয়ার অ্যাপ মাইজিপিতে ইশারা ভাষাভিত্তিক এই গ্রাহকসেবা চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া ‘কথাগুলো হারিয়ে না যাক শব্দের অভাবে’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের ইউটিউব চ্যানেলে ইশারা ভাষার ভিডিও টিউটোরিয়াল আপলোড করা হয়েছে, যা আগ্রহীদের ইশারা ভাষা শিখতে প্রাথমিক সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছে যোগাযোগ প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তির সুবিধা পৌঁছানো উচিত। গ্রামীণফোন এখন ৭ কোটি ৬৫ লাখ গ্রাহকের পরিবার। আমার দায়িত্ব হলো আমাদের নেটওয়ার্কে সবাইকে সমানভাবে সেবা দেয়া। মাইজিপি অ্যাপ এবং গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইটে ইশারা ভাষাভিত্তিক সেবা ‘সাইন-লাইন’ অন্তর্ভুক্তি লাখো মানুষকে সেবা পেতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে লাখো শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী থাকলেও ইশারা ভাষা শেখার যথেষ্ট সুযোগ নেই। যে কারণে বাকি মানুষের সঙ্গে তারা ঠিকভাবে যোগাযোগ করতে পারেন না।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী বলেন, কাস্টমার কেয়ারে আমাদের চারজন সদস্য প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘সাইন-লাইনে’ শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের সেবা দেবেন। ভালো সাড়া পাওয়া গেলে ধীরে ধীরে এ সেবার পরিধি বাড়ানো হবে।
ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে কোনো সমস্যা হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র আমাদের থ্রি-জি অথবা ফোর-জি সেবা চালু আছে। সুতারাং দেশের যে কোনো স্থান থেকে এ সেবা গ্রহণে কোনো সমস্যা হবে না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার, ইশারা ভাষা বিশেষজ্ঞ আরাফাত সুলতানা লতা, সংগীত শিল্পী তাহসান খান প্রমুখ।
শেয়ারবার্তা / আনিস