করোনাভাইরাসে চীনে এখন পর্যন্ত ১৫০০ জনের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ভয়াবহ এ ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনকে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে ফেলেনি, মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে দেশটির অর্থনীতির ওপরও। ভয়াবহ এ ভাইরাস মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত চীনের খরচ হয়েছে ৩৩ লাখ কোটি টাকা
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একেবারে তলানিতে পৌঁছে গেছে চীনের অর্থনীতি। ৩০ বছরের ইতিহাসে সব থেকে তলানিতে দেশটির অর্থনীতি। যা চীনের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা।
জানা গেছে, গত চার বছরের মধ্যে চীনের সংস্থাগুলোতে হঠাৎ করেই কমে গেছে লাভের পরিমাণ। ভাইরাস আতঙ্কে অন্যান্য দেশের বিভিন্ন সংস্থাও চীনে থাকা অফিসগুলোর বন্ধ করে দিয়েছে। সমস্ত কর্মীদের ফিরিয়ে নিচ্ছেন সেখান থেকে। কমিউনিস্ট চীনের শেয়ার বাজারেও বড় পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত একমাসে শুধুমাত্র করোনাভাইরাসের জন্যে ৪২০ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৩ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যা চীনের জন্যে যথেষ্ট মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কীভাবে বিশাল এই ক্ষতি মোকাবিলা করা যায় তা রীতিমত চ্যালেঞ্জের চায়নিজদের কাছে।
ইতিমধ্যেই চীনের গন্ডি পেরিয়েছে করোনাভাইরাস সিঙ্গাপুর, ভারত, হংকং ও ফিলিপাইনসহ ২৮টি দেশে ছড়িয়েছে এ রোগের সংক্রমণ।
এদিকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ভারতের। আবার ভারতেরই প্রতিবেশি পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারের সঙ্গেও চীনের সীমান্ত। নেপাল, ভারত করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়ায় দুটি দেশেই জারি বিশেষ সতর্কতা।
শেয়ারবার্তা / মিলন