দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে অভাবনীয় সফলতা এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘রফতানির সিংহ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এ শিল্পে আমরা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি।’
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ইএসএসএবি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
টিপু মুনশি বলেন, ‘রানা প্লাজা দুর্ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। শিল্পের জন্য ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এই সেক্টরের অনেক যন্ত্রপাতি এখনও আমরা আমদানি করছি। এ ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করার সুযোগ ও দক্ষতা আমাদের রয়েছে। ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি দেশেই তৈরি করতে হবে। নিজেরা এ যন্ত্রপাতি তৈরি করলে আমাদের আর আমদানি নির্ভর থাকতে হবে না। একইসঙ্গে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের সেরা ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির সাতটিই বাংলাদেশে। এগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি একান্ত প্রয়োজন। একসময় এগুলোর ডিজাইন বিদেশ থেকে আমদানি হতো। এ ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তারা চায়নি সোনার বাংলা হোক। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বদল করে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করেছিল। বাংলাদেশ বেতারের নাম বদল করে রেডিও বাংলাদেশ করেছিল। এতেই তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু আজ নেই, আমরা তাঁর উদ্দেশ্য ও আদর্শ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।’
বাণিজ্যমন্ত্রীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোতাহার হোসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লে. কর্নেল এসএম জুলফিকার রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুনতাকিম আশরাফ, বিজিএমইএ এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহা. আব্দুস সালাম, অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহা. মাহমুদ এবং এক্সপোর আহ্বায়ক জাকির উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, এবারের এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, তাইওয়ান, তুরস্কসহ ২৫টি দেশের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য ৭৫টি স্টলে প্রদর্শিত হচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কোনও ফি ছাড়াই এক্সপোতে প্রবেশ করা যাবে। এক্সপো চলবে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
শেয়ারবার্তা / মিলন