পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়ায় দেশের পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই সুবিধা দেয়ার পর মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে উল্লম্ফন দেখা দেয়। বুধবারও বাড়ে সবকটি সূচক। আগের দুই কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবারও সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে এবং সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে মেগা দুই কোম্পানি। কোম্পানি দুটি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি। প্রতিষ্ঠান দুটির শেয়ারদর বাড়ার ফলে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ১৪.৯৫ পয়েন্ট। আর কোম্পানিটি দুটির মধ্যে ইউনাইটেড পাওয়ারের দর বেড়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
এছড়া ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকে যোগ হয়েছে পাওয়ার গ্রীডের ২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট, খুলনা পাওয়ারের ২ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ২ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট, তিতাস গ্যাসের ১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের ১ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট, এমএল ডাইংয়ের ১ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট, বিএসআরএম স্টিলের ১ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট এবং এমজেএল বাংলাদেশের ১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে।
অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকে সব থেকে বেশি ঋণাত্মক প্রভাব ফেলেছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এই প্রতিষ্ঠানটির কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে দশমিক ৭৪ পয়েন্ট। এর পরের স্থানে রয়েছে রেনেটা। এই কোম্পানিটির কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে দশমিক ৬৭ পয়েন্ট। এর পরের স্থানে থাকা ইস্টার্ন ব্যাংক দশমিক ৬৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
এছাড়া বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল দশমিক ২২ পয়েন্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ দশমিক ২২ পয়েন্ট, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স দশমিক ১৭ পয়েন্ট, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক দশমিক ১৭ পয়েন্ট, সমতা লেদার দশমিক ১৬ পয়েন্ট, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ দশমিক ১৫ পয়েন্ট এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল দশমিক ১৪ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ