অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রাজস্ব আহরণ গত বছরের (জুলাই ২০১৯-জানুয়ারি ২০২০) তুলনায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি হিসাব হবে গত বছর এ সময়ে আমরা কী অর্জন করেছি এবং এ বছর কেমন অর্জন করলাম। কিন্তু এ বছর যদি কম হয়, তাহলে দ্যাট ইজ নেগেটিভ গ্রোথ। আর যদি গত বছরের তুলনায় বেশি করি, তাহলে পজিটিভ গ্রোথ। আমার জানা মতে, এ বছর ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন আছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক মুস্তফা কামাল।
রাজস্ব ঘটতি বাড়ছে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয় বড় আকারের, যাতে এটি অর্জন করার জন্য সবাই চেষ্টা করে। এ বিষয়ে আমাদের প্রকাশনাগুলো দেখবেন, সারা বিশ্বের অবস্থা দেখবেন, তারপর বলবেন আমরা কেমন আছি। রাজস্ব আহরণ গত বছরের তুলনায় এ বছর কমেনি। আপনারা যে পদ্ধতিতে হিসাব করেন, সে পদ্ধতিতে হিসাব করা নিয়ম না।
ব্যাংক কোম্পানি আইনের খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে যে, প্রাইভেট ব্যাংকের ডিরেক্টর, এমডি, ডিএমডি নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে অ্যাপ্রুভ করলে তাদের নিয়োগ হবে। এ সংক্রান্ত ধারা সংযুক্ত হচ্ছে, এ বিষয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, খসড়া ব্যাংকিং কোম্পানি অ্যাক্টের নতুন ধারা আছে একটি। এটি আমি এখনও পাইনি। আমার কাছে খসড়া এলে বলতে পারবো। যদি এটি হয় তাহলে ভালো হবে বাস্তবায়ন করা গেলে। সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এভাবেই অনুমোদন নিয়ে করা হয়। সুতরাং বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রেও এভাবে অনুমোদন নিয়ে স্ট্রাকচার বডির আওতায় যদি এটি করা যায়, তাহলে ভালো হবে। সেটা ভালো কাজ, আস্তে আস্তে ভালো কাজের দিকে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকিং কোম্পানি আইন বিদ্যমান আছে। এখানে কিছু অ্যামেনমেন্ট আনতে হবে এ আইনে। পুরো আইন চেঞ্জ করতে হবে না। প্রপোজাল এলে আমিই নিয়ে যাবো কেবিনেটে। সেখানে আলোচনা করে কেবিনেট যেগুলো গ্রহণ করবে সেগুলোই সংসদে অনুমোদনের জন্য যাবে, সেটাই নিয়ম।
শেয়ারবার্তা / আনিস