বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়ায় দেশের পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। সূচকের টানা উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক বছর পর আবারও সাতশ কোটি টাকার ওপর লেনদেন হয়েছে।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ৫৯.৪৭ শতাংশই ছিল চার খাতের কোম্পানির দখলে। খাতগুলো হলো- বস্ত্র খাত, প্রকৌশল খাত, ফার্মা ও রসায়ন খাত এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। ডিএসইর লেনদেন চিত্রে এ তথ্য মিলেছে।
আজ ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। দিনভর এ খাতের কোম্পানিগুলোর ১২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬.৯২ শতাংশ। এ খাতের ৪৭টি কোম্পানির মধ্যে ৪০টি বা ৭০.১৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বিপরীতে ৯টি বা ১৫.০৯ শতাংশ কোম্পানি দর কমেছে এবং ৮টি বা ১৪.০৪ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
লেনদেনে দ্বিতীয় স্থান দখল করা প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ১১০ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫.৫৫ শতাংশ। এ খাতের ৩৯টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি বা ৮২.০৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। বিপরীতে ৩টি বা ৭.৬৯ শতাংশ কোম্পানি দর কমেছে এবং ৪টি বা ১০.২৬ শতাংশ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
১০৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে ছিল ফার্মা ও রসায়ন খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনে এখাতের অবদান ছিল ১৪.৮১ শতাংশ। এ খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে আজ ২১টি বা ৬৫.৬৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছ। বিপরীতে ১১টি বা ৩৪.৩৮ শতাংশ কোম্পানি দর কমেছে।
লেনদেনে চতুর্থ স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ৮৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২.১৯ শতাংশ। এ খাতে তালিকাভুক্ত ১৯টি কোম্পানির মধ্যে ১৮টি বা ৯০.৭৪ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছ। বিপরীতে ১টি বা ৫.২৬ শতাংশ কোম্পানি দর কমেছে।
এছাড়া অন্যান্য খাতে উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে বীমা খাতে ৪৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা, ব্যাংক খাতে ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, সিমেন্ট খাতে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং বিবিধ খাতে ৩১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস