দেশের পুঁজিবাজারে পোশাক খাতের কোম্পানিগুলোতে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাজারে তালিকাভুক্ত ৫৭ শতাংশ কোম্পানির আয় কমেছে। এসব কোম্পানির আয়ে খরার কারণে শেয়ার দরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজারে এই খাতের ৫৬ টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ টি কোম্পানি তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ২৭ টি বা ৫৭ শতাংশ কোম্পানির আয় কমেছে। আয় বেড়েছে মাত্র ১১ টি প্রতিষ্ঠানের। অবশিষ্ট ৯ টি প্রতিষ্ঠান লোকসানের কবলে পড়েছে।
পোশাক খাতের কোম্পানিগুলোর জুন মাসে বছর শেষ হয়। সে হিসেবে কোম্পানিগুলো অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের বা অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
যেসব কোম্পানির আয় কমেছে সেগুলোর হচ্ছে – রিজেন্ট টেক্সটাইল, ডেল্টা স্পিনার্স, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, ড্রাগন সোয়েটার, এস্কয়ার নিট, হামিদ ফেব্রিকস, আমান কটন, সায়হাম টেক্সটাইল, সায়হাম কটন, স্টাইল ক্রাফট, নূরানী ডাইং, আনলিমা ইয়ার্ন, এপেক্স স্পিনিং, এনভয় টেক্সটাইল, কুইনসাউথ টেক্সটাইল, রিং সাইন টেক্সটাইল, নিউ লাইন ক্লোথিং, ফারইস্ট নিটিং, জেনারেশন নেক্সট, প্যাসিফিক ডেনিমস, স্কয়ার টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, ইভিন্স টেক্সটাইল, দেশ গার্মেন্টস, আর্গন ডেনিম, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সিমটেক্স লিমিটেড।
এর মধ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) তিন মাসে সিমটেক্সের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৩ পয়সা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৯৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৮ পয়সা।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৯ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৭ পয়সা।
আগরন ডেনিম: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৮ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭৩ পয়সা।
দেশ গার্মেন্টস: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৫ পয়সা।
ইভিন্স টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৪ পয়সা।
মালেক স্পিনিং: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৪০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫২ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৯ পয়সা।
স্কয়ার টেক্সটাইল: স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৪৯ পয়সা। ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর,১৯) কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৮৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ১ টাকা ১৭ পয়সা।
প্যাসিফিক ডেনিমস: দ্বিতীয় প্রান্তিকের কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৩৩ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৬৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৬৭ পয়সা।
জেনারেশন নেক্সট: দ্বিতীয় প্রান্তিকের কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ২০ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৪৫ পয়সা।
ফারইস্ট নিটিং: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে আয় ছিল ৩৪ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৬০ পয়সা।
নিউ লাইন ক্লোথিং: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৩ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা।
রিং সাইন টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৯ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৯ পয়সা।
কুইনসাউথ টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩২ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৫৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৬ পয়সা।
এনভয় টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৫৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭০ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৭২ পয়সা।
এপেক্স স্পিনিং লিমিটেড: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৯১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯২ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।
আনলিমা ইয়ার্ন: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৯ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৬ পয়সা।
নূরানী ডাইং: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩১ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৬ পয়সা।
স্টাইল ক্রাফট: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৮৪ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা।
সায়হাম কটন: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৩৩ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৪ পয়সা।
সায়হাম টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৪৯ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৫৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ পয়সা।
আমান কটন: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৩ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৯৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা।
হামিদ ফেব্রিকস : দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩০ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬৭ পয়সা।
এস্কয়ার নিট: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৮৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২ টাকা ৪ পয়সা।
ড্রাগন সোয়েটার: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬১ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৭৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ২৯ পয়সা।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬২ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পাটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা।
ডেল্টা স্পিনার্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৬ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১৩ পয়সা।
রিজেন্ট টেক্সটাইল: দ্বিতীয় প্রান্তিকের কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৯ পয়সা। ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ৬৪ পয়সা।
এদিকে, যেসব কোম্পানির আয় বেড়েছে সেগুলো হচ্ছে- ভিএফএস থ্রেড, এইচআর টেক্সটাইল, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং, রহিম টেক্স, এসকে ট্রিমস, হা-ওয়েল টেক্সটাইল, শাশা ডেনিমস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, এমএল ডাইং এবং কাট্টলি টেক্সটাইল।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল