পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো ৪৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৯) এই আয় কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টি চলতি অর্থবছরের ৬ মাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টির বা ৪৮ শতাংশের ইপিএস কমেছে, ইপিএস বেড়েছে ১১টির বা ৪১ শতাংশের এবং ৩টি বা ১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে।
ইপিএস সর্বোচ্চ কমেছে একটিভ ফাইনের। কোম্পানিটির ইপিএস ৯৩ শতাংশ কমেছে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ ইপিএস কমেছে সেন্ট্রাল ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ শতাংশ ইপিএস কমেছে এসিআই ফর্মূলেশনের। এছাড়া ইপিএস সবচেয়ে কম অর্থাৎ ১ শতাংশ কমেছে একমি ল্যাবরেটরিজের।
ইপিএস আগের বছরের একই সময় থেকে বেড়েছে ৪১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। ইপিএস সর্বোচ্চ বেড়েছে ওয়াটা কেমিক্যালের। কোম্পানিটির ইপিএস ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ ইন্দো-বাংলা ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ কোহিনুর কেমিক্যালের ইপিএস ২৮ শতাংশ বেড়েছে। আর ইপিএস সবচেয়ে কম ১ শতাংশ বেড়েছে অ্যাডভেন্ট ফার্মার।
এ সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৩টির বা ১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। এ সময়ে এসিআই মুনাফা থেকে লোকসানে নেমে গেছে। আগের বছরের একই সময় থেকে চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে কোম্পানিটির লোকসান ২৪৫০০ শতাংশ বেড়েছে। ইমাম বাটনের লোকসান ২৭ শতাংশ বেড়েছে আর বেক্সিমকো সিনথেটিকসের লোকসান আগের বছর একই সময় থেকে ১৮ শতাংশ কমেছে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল