দেশের দুটি তফসিলি ব্যাংকের বড় ধরনের রূপান্তর ঘটছে। ব্যাংক দুটি প্রচলিত ব্যাংকিং এর পরিবর্তে আগামী দিনে শুধু ইসলামী ধারার ব্যাংকিং করবে। ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক আলোচিত ব্যাংক দুটিকে ওই রূপান্তরের অনুমতি দিয়েছে।
রোববার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যাংক দুটি হচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এবং নানা কেলেঙ্কারির জন্য আলোচিত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। এর মধ্যে শেষ ব্যাংকটি তার নামও পরিবর্তন করছে। নাম থেকে ছেঁটে ফেলছে এনআরবি শব্দটি। এখন থেকে ব্যাংকটির নাম হবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
বিশেষজ্ঞদের মতে,ব্যাবসায়িক কৌশলের অংশ হিসেবে ব্যাংক দুটি ইসলামী ব্যাংকে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। কারণ ইসলামী ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা ধরণের ছাড় দিয়ে থাকে। সাধারণ ব্যাংকের তুলনায় ইসলামী ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকে কম সিআরআর রাখতে হয়।
সিআরআর বা বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি হচ্ছে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রাপ্ত আমানতের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা সঞ্চিতি। এই সঞ্চিতির পর থাকা অবশিষ্ট অর্থ বিধি অনুসারে ঋণ ও আগাম হিসেবে বিতরণ করতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। তাই সিআরআর যত কম রাখতে হয়,ব্যাংকের কাছে বিনিয়োগযোগ্য অর্থ তত বেশি থাকে। সিআরআরের পাশাপাশি এসএলআরেও ছাড় পেয়ে থাকে ইসলামী ব্যাংকগুলো। বর্তমানে প্রচলিত ধারার একটি ব্যাংক ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে ৮৫ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। অন্যদিকে ইসনলামী ধারার ব্যাংক পারে ৯০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ ইসলামী ধারার ব্যাংকগুঋলো আমানতের বিপরীতে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি ঋণ দিতে পারে। বাড়তি বিনিয়োগের কারণে বাড়তি আয়েরও সুযোগ থাকে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল