1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
বিনিয়োগ উপযোগি পুঁজিবাজারের সাত খাতের শেয়ার
সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৩ এএম

বিনিয়োগ উপযোগি পুঁজিবাজারের সাত খাতের শেয়ার

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

গত এক বছর ধরে অব্যাহত পতনে রয়েছে পুঁজিবাজার। এক বছর আগে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূলসূচক ছিল ৬ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি। এক বছরের ব্যবধানে নতুন নতুন শেয়ার তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও মূলসূচক নেমে এসেছে সাড়ে ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে। অব্যাহত পতনে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর নেমে গেছে তলানিতে। অবমূল্যায়িত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভালো অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে প্রায় সব খাতের শেয়ার। তবে সাত খাতের শেয়ার বিনিয়োগের জন্য বেশি অনুকূল।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি মূল্যায়নের অন্যতম হাতিয়ার মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও)। যে প্রতিষ্ঠানের পিই যত কম, ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ঝুঁকি তত কম। সাধারণত যেসব প্রতিষ্ঠানের পিই ১০-১৫ এর মধ্যে থাকে, সেই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বড় ধরনের দরপতনের কারণে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেশ নিচে অবস্থান করছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে মধ্যে তিন কার্যদিবসে দরপতন হয়। এতে সপ্তাহ শেষে ডিএসইর পিও রেশিও অবস্থান করছে ১২ দশমিক ১৮ পয়েন্টে।

এমন পতনের বাজারে সাতটি খাতের পিই রেশিও ১৫ পয়েন্টের নিচে রয়েছে। এ খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক, প্রকৌশল, বীমা, খাদ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ এবং সেবা ও আবাসন। অপরদিকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে- কাগজ ও মুদ্রণ, আর্থিক এবং পাট খাত। এ তিনটি খাতের পিই রেশিও ৪০ পয়েন্টের ওপরে।

বাজারের এ পরিস্থিতে সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ১০ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট অবস্থান করছে। এর পরের স্থানেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই ১০ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে রয়েছে।

১৫ পয়েন্ট নিচে পিই থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে- সেবা ও আবাসন খাতের পিই ১২ দশমিক ১৪ পয়েন্ট, বীমার ১৩ দশমিক ৭৮, প্রকৌশলের ১৪ দশমিক ৯৮ এবং খাদ্য খাতের ১৪ দশমিক ৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

অপরদিকে সব থেকে বেশি পিই রেশিও থাকা খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক খাতের ৪৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট, পাট খাতের ৪৩ দশমিক ৮৬, পেপার খাতের ৪১ দশমিক ১৮, সিমেন্ট খাতের ৩৬ দশমিক ৩৫ এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩০ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাকি খাতগুলোর পিই ৩০-এর নিটে। এর মধ্যে- বস্ত্র খাতের ১৬ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৬ দশমিক শূন্য ৯, তথ্য প্রযুক্তির ১৯ দশমিক ৬৩, বিবিধ খাতের ২৩ দশমকি ২৫, সিরামিক খাতের ২৬ দশমিক ৫১ এবং চামড়া খাতের ২১ দশমিক ১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

শেয়ারবার্তা / আনিস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ