ভোটের কারণে বিঘ্ন ঘটার পর দুই দফায় বাড়ানো হয়েছিল এবার মেলার সময়। কিন্তু ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেনি বলে আক্ষেপ রয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অভিযোগ আর হতাশা নিয়ে শেষ হল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসর। তাদের অভিযোগ, এবার তাদের স্টলগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা আশানুরূপ বেশি ছিল না।
বৃহস্পতিবার মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে অন্য বছরের তুলনায় মেলার শেষ দিনে ভিড় কম দেখা গেছে।
হাঁড়িপাতিলসহ নানা পণ্যের সমাহারে সাজানো ‘মিয়াকো’র স্টলের ইনচার্জ মো. আলমগীর বলেন, “মেলার শেষদিকে আমাদের আশা থাকে ক্রেতাদের অনেক ভিড় থাকবে। যারা এই এক মাসে বিভিন্ন সময়ে প্রোডাক্ট পছন্দ করে গিয়েছেন, তারা শেষদিকে এসে সেগুলো কিনে নিবেন। কিন্তু মেলার শেষদিনে এসেও আজকে আমরা অলস সময় কাটাচ্ছি।” মেলার শেষ সময়ে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েও প্রত্যাশিত ক্রেতা না পাওয়ার কথা বলেন তিনি।
মেয়েদের অলংকারসহ বিভিন্ন ডিজাইনের ঘড়ি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এফ জি ফ্যাশন জুয়েলারির বিক্রয় প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন, “মেলায় এবার ছোট দোকানগুলো পুরোই ফাঁকা। মেলার সময়সীমা বাড়ানো হলেও মাঝারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এবার তেমন লাভ করতে পারেনি। আর শেষদিন তো মেলায় লোকজন খুবই কম।” মেলার শেষদিন দেশীয় পণ্যের স্টলগুলোর তুলনায় বিদেশি পণ্যের প্যাভিলিয়নগুলোতে ক্রেতা সমাগম ছিল তুলনামূলক বেশি।
তবে বিদেশি পণ্যের স্টলের সংখ্যা গত বছরগুলোর তুলনায় অনেকটাই কম বলে চোখে পড়েছে ক্রেতাদের।
উত্তরা থেকে আসা এক এনজিও কর্মকর্তা মাহবুবা শিকদার বলেন, “এবছর মেলায় দেখলাম বিদেশি পণ্যের স্টলগুলো অনেক কম। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হিসেবে এই ব্যাপারটি নেতিবাচক। আবার দেশি পণ্যের স্টলগুলোতেও শুধু দেশের পণ্য বিক্রি হয় না।”
শেয়ারবার্তা / হামিদ