দেশে বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতার সংখ্যা ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৬ জন। যদিও দেশে ই-টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) ডাটাবেজে ৪৬ লাখ করদাতার তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে আবিদা আনজুম মিতার এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, গত বছর ৬৪টি জেলা এবং ১০৩টি উপজেলায় আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮৭ জন সেবা গ্রহণ করে।
মোকাব্বির খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি জানান, বর্তমানে শেয়ার বাজারে কিছু তারল্য সঙ্কট থাকলেও ব্যাংকিং খাতে কোনো সঙ্কট নেই। বর্তমানে আবশ্যকীয় নগদ জমা (সিআরআর) সংরক্ষণ ও আবশ্যকীয় সহজে বিনিময় সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণের পরও ব্যাংকগুলোর কাছে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৬৭ হাজার ৬০১ কোটি হতে ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১০১ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিরাজমান তারল্য সঙ্কট কাটিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গত ১৬ জানুয়ারি একটি বৈঠকও করেছেন।
জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ৭২টি দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (এফআইইউ) সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে।
তিনি জানান, বিএফআইইউ যেসব দেশের এফআইইউ- এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, তাদের পাশাপাশি এগমন্ট গ্রুপের সদস্য এফআইইউসমূহের সঙ্গে নিয়মিতভাবে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিএফআইইউ-এর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপ্ত বা বিদেশি এফআইইউ কর্তৃক স্বপ্রণোদিতভাবে প্রেরিত তথ্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের জন্য নিয়মিতভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় পাঠানো হয়ে থাকে।
শেয়ারবার্তা / মিলন