ইন্টারনাল অডিটর পজিশন অথরিটির কাছে বন্দী বলে মন্তব্য করেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর অডিটর ভবনে আয়োজিত প্রপোজাল ফর এনএক্টমেন্ট অব ” দ্য ইনস্টিটিউট অব ইন্টার্নাল অডিটর্স বাংলাদেশ এক্ট” এর ওয়ার্কশপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, বর্তমানে ইন্টার্নাল অডিটররা পজিশন অথোরিটি যেমন এমডি সিইও এরকম পজিশনের কাছে বন্দি থাকে। আপনাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বন্দি থাকবেন কিনা। আমরা ইন্টার্নাল অডিট এর বিষয়টি খুব শীঘ্রই কর্পোরেট গভর্ন্যান্স কোড এর অন্তর্ভুক্ত করবো।
নিজামী বলেন, বর্তমান অবস্থায় ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল থেকে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। এ বাস্তবতা আমরা দেখতে ও বুঝতে পেরিছি। সুতারাং আমাদেরকে ক্যাপিটাল মার্কেটে আসতে হবে। আর জনগণকে ক্যাপিটাল মার্কেটমুখী করতে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে কর্পোরেট গভর্নেন্সের স্বচ্ছতা।
তিনি বলেন, বাস্তবতার আলোকে আমরা দেখেছি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার যে চিন্তাভাবনা কিংবা নিরীক্ষার যে কার্যক্রম, এসকল ভেজাল অডিট রিপোর্টের কারণে কমপক্ষে বাজেটের এক পঞ্চমাংশ থেকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে। এ পরিমাণ রেভিনিউ কেবল মাত্র নিরীক্ষার অসৎ উদ্দেশ্যের কারণে আমাদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলো আমাদের বন্ধ করতে হবে।
জবাবদিহিতার বিষয়ে কথা বলতে যেয়ে তিনি বলেন, আমিওতো একটি প্রতিষ্ঠানে কর্পোরেট গভর্নেন্স দেখি, যা আমাদের প্রধানতম কাজ। অডিটররা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। আমরা রুলস রেগুলেশন তৈরি করেছি। আমাদের সে সক্ষমতা আছে। তারপরেও সকল ক্ষেত্রে সফল হয়েছি আমরা বলব না, আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি অডিট রিপোর্টের কোনো ডাটা সার্ভার নেই। আমি জানি এসবে বাধা আসবে। আমরা চাই যে, একটি সেন্ট্রাল অডিট রির্পোটের ডাটা সার্ভার যদি থাকে তাহলে রিপোর্ট তৈরিতে সমস্ত খারাপ উদ্দেশ্য কন্ট্রোল করা যাবে। এটি বাস্তবায়নে উপস্থিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল