বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, গত বছর (২০১৯ সাল) বিজিএমইএর আওতাধীন ৬৩ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ৩২ হাজার ৫৮২ জন শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। তবে বিকেএমইএর অধীনে থাকা কোনো কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উত্থাপিত সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি বেগম শামসুর নাহারের মৌখিক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিকেএমইএর অধীনে থাকা ২২০০ কারখানার মধ্যে ৯২০ টি সদস্যপদ নবায়ন করেছে। সদস্যপদ নবায়ন না করায় ১ হাজার ২৮০ টি কারখানা বন্ধ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রফতানি আদেশ পাওয়া সাপেক্ষে কারখানাসমূহ পুনরায় সক্রিয় হতে পারবে।
এছাড়াও চাকরি হারানো শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এর অধীন তৈরি পোশাক খাতে ভবিষ্যতে কাজ করবে এমন জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণের বিষয়টি পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এমপি আনোয়ার হোসেন খান সরকারদলীয় এমপির প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৩.৩০ লাখ টন। এ পণ্যের উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত সময়ে ৩০-৩৫ শতাংশ এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজের মানের ভিন্নতা অনুসারে ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত পচে যায়। খাবারে অনুপযোগী পেঁয়াজ বাদ দিলে নিট উৎপাদন ১৫.১৪ লাখ টন। ফলে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮-৯ লাখ টন।
টিপু মুনশি বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে বীজ উৎপাদিত পেঁয়াজ সংগ্রহের মৌসুম। মৌসুম শুরু হলে সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং মূল্য স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
খ. মমতা হেলা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক কারখানায় নারী শ্রমিকের ২২ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার কথাটি সঠিক নয়।
সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৪৫টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। এছাড়া ৯টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে আফগানিস্তান, ভুটান, চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, লাওস, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা।
শেয়ারবার্তা / মিলন