পুঁজিবাজার ভালো থাকলে লেনদেন বেশি হয়। এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে পুঁজিবাজারে মন্দাবস্থা থাকলে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। গেল (জুলাই’১৯-জানুয়ারি’২০২০) এই সাত মাসে সরকার পুঁজিবাজার থেকে ৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা রাজস্ব বাবদ আদায় করেছে। তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। অর্থাৎ পুঁজিবাজারের মন্দাবস্থার কারণে সরকার ৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা বা ৩৯.৩১% কম রাজস্ব আদায় করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি ২০২০ সময়ে সরকার রাজস্ব বাবদ আদায় করেছে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। জানুয়ারি মাসে পুঁজিবাজারের অবস্থা খুবই নাজকু থাকার কারণে রাজস্ব আদায়ে এক প্রকার ধস নেমেছে। অবশ্য ডিসেম্বর,২০১৯ সময়ের তুলনায় গত মাসে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। ডিসেম্বর,২০১৯ সময়ে পুঁজিবাজার থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে পুঁজিবাজারের চাঙ্গা অবস্থায় সরকার রাজস্ব আদায় করেছিল ৪৪৭ কোটি টাকা। এরপর থেকেই পুঁজিবাজারের মন্দাবস্থায় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমতে থাকে। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৭২ কোটি টাকা। এর পরের বছরগুলোতে যেমন: ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ১২৭ কোটি টাকা, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ১৫৪ কোটি টাকা, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ১৭৪ কোটি টাকা, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ১৫৮ কোটি টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ২৪৬ কোটি টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ২৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ট্রেকহোল্ডারদের কমিশন এবং স্পন্সর পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫১ কোটি টাকা।
বিগত বছরগুলোর রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়া-কমার তথ্যে দেখা গেছে, যখনই পুঁজিবাজার একটু ভালো অবস্থানে ছিল তখনই সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। আর ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা গেছে যখন পুঁজিবাজারে মন্দাবস্থা বিরাজ করেছে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল