বিদায়ী সপ্তাহে বিক্রয় চাপ অব্যাহত ছিল পুঁজিবাজারে। সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসে শেয়ার বিক্রয় করেছে বিনিয়োগকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহশেষে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৬০.৫৫ শতাংশ কোম্পানি ও ফান্ডের শেয়ার দর কমেছে। ডিএসই’র সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৬ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র লেনদেন কমেছে ১.৭৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪৪৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন কমেছে ১.৭৮ শতাংশ।
সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬০টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টির, দর কমেছে ২২৮টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ২২টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর ৩২৮টির, দর কমেছে ২৩টির ও দর অপরিবর্তিত ছিল ৭টি প্রতিষ্ঠানের।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ৪৪.২৪ পয়েন্ট। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র সার্বিক মূল্যসূচক ছিল ৪৫১৩.৮৯ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে তা ৪৪৬৯.৬৬ পয়েন্টে স্থিতি পেয়েছে। এসময় শরীয়াহ্ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্যসূচক ডিএসইএস কমেছে ৭.২১ পয়েন্ট।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের দখলে ছিল ৮০ দশমিক ৫১ শতাংশ। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৭২ লাখ ২১ হাজার ৬৩৬ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমান ছিল ১ হাজার ৭৯৮ কোটি ৪০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৯ টাকার। লেনদেনে গেলো সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের অংশগ্রহণ ছিল ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ। এসব শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩৮ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭৩ কোটি ৪৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
শেয়ারবার্তা / আনিস