গত জানুয়ারি পুরো মাসজুড়েই দেশের পুঁজিবাজারে ছিল চরম অস্থিরতা। এ মাসে একদিন বাজার ভালো থাকলে দুই দিন খারাপ ছিল। বিনিয়োগকারীরা মাসজুড়েই ছিল বড় আতঙ্কের মধ্যে। এ অস্থিরতার মধ্যেও প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯টি কোম্পানির শেয়ার দরে ছিল বড় উল্লম্ফন। এ সময়ে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বেড়েছে ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। কোম্পানিগুলো হলো-লাফার্জ সিমেন্ট, শ্যামপুর সুগার, সী পার্ল হোটেল, জিলবাংলা সুগার, বিবিএস, দুলামিয়া কটন, ইউনাইটেড এয়ার, এমএল ডাইং ও ফার্স্ট ফিন্যান্স লিমিটেড। (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্রমাতে, জানুয়ারী মাসে লাফার্জ সিমেন্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৩৯.৭২ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ৩৮.৩৬ শতাংশ, সী পার্ল হোটেলের ৩৩.৩৩ শতাংশ, জিলবাংলা সুগারের ৩১.৫৩ শতাংশ, বিবিএসের ২৮.৭৫ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ২৭.৯৪ শতাংশ, ইউনাইটেড এয়ারের ২৬.৬৬ শতাংশ, এমএল ডাইংয়ের ২৪.২২ শতাংশ, ফার্স্ট ফিন্যান্সের দর বেড়েছে ২০.৪৫ শতাংশ।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১লা জানুয়ারি লাফার্জ সিমেন্টের শেয়ার দর ছিল ৩৬ টাকা। যা ৩০ জানুয়ারি বেড়ে দাঁড়িযেছে ৫০ টাকা ৩০ পয়সায়। এক মাসে দর বেড়েছে ৩৯.৭২ শতাংশ।
একইভাবে ১লা জানুয়ারি শ্যামপুর সুগারের শেয়ার দর ছিল ২৩ টাকা ২০ টাকা। ৩০ জানুয়ারি দর বেড়ে দাঁড়িযেছে ৩২ টাকা ১০ পয়সায়। দর বেড়েছে ৩৮.৩৬ শতাংশ।
সী পার্লের দর ছিল ৪১ টাকা ৪০ পয়সা। ৩০ জানুয়ারি কোম্পানিটির দর উঠেছে ৫৫ টাকা ২০ পয়সায়। দর বেড়েছে ৩৩.৩৩ শতাংশ।
জিলবাংলা সুগারের দর ছিল ৩১ টাকা ৪০ পয়সা। ৩০ জানুয়ারি দর দাঁড়িযেছে ৪১ টাকা ৩০ পয়সায়। দর বেড়েছে ৩১.৫৩ শতাংশ।
বিবিএসের দর ছিল ১৬ টাকা। ৩০ জানুয়ারি দর দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬০ পয়সায়। দর বেড়েছে ২৮.৭৫ শতাংশ।
দুলামিয়া কটনের দর ছিল ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। ৩০ জানুয়ারি দর দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৯০ পয়সায়। দর বেড়েছে ২৭.৯৪ শতাংশ।
ইউনাইটেড এয়ারের দর ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। ৩০ জানুয়ারি দর দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সায়। দর বেড়েছে ২৬.৬৬ শতাংশ।
এমএল ডাইংয়ের দর ছিল ৩৫ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ জানুয়ারি দর দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৬০ পয়সায়। দর বেড়েছে ২৪.২২ শতাংশ।
ফার্স্ট ফিন্যান্সের দর ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা। ৩০ জানুয়ারি দর দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সায়। দর বেড়েছে ২০.৪৫ শতাংশ।
শেয়ারবার্তা / আনিস