ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ শেয়ারদর কমেছে। আর এই দরপতনের বাজারে স্পিনিং কোম্পনিগুলোর শেয়ারের বেশ দাপট লক্ষ্য করা যায়। ডিএসই’র লেনদেন পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই’তে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে পাঁচটিই ছিল স্পিনিং কোম্পানির। এ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই লোকসানি এবং দুর্বল মৌলভিত্তির। হঠাৎ এসব দুর্বল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল। দীর্ঘ দিন ধরে উৎপাদন বন্ধ। অথচ কোম্পানিটির দর কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে। কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি তালিকার শীর্ষ উঠে আসে। কোম্পানির শেয়ার সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। অথচ ৯ জানুয়ারি এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা। এরপর থেকে অধিকাংশ সময় কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে।
শুধু সোনারগাঁও টেক্সটাইল নয়, স্পিনিং মিলগুলোর অধিকাংশই লোকসানের মধ্যে রয়েছে। জাহিন স্পিনিং মিলসের দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি ছয় (জুলাই-ডিসেম্বর,১৯) মাসে শেয়ার প্রতি লোকসান দাঁড়িয়েছে ৮৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪৫ পয়সা। অথচ এই কোম্পানির শেয়ার দরে গতকাল উল্লফন দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ মন্দার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নানা পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাসে বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাজার যখন গতিশীল হওয়ার পথে ঠিক তখন বাজারে দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর দর বাড়ছে। এটা ভালো লক্ষণ নয়।
তারা বলছেন, অতীতেও বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর মুহূর্তে ঊর্ধ্বমুখি বা দরপতনের বাজারে কিছু লোকসানি কোম্পানি দর বাড়তে দেখা গেছে। এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বর্তমান বাজারে যাতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই এসব কোম্পানি দর বাড়ার পেছনে কি কারণ রয়েছে তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করছেন তারা।
যেসব স্পিনিং কোম্পানির দর বৃদ্ধির শীর্ষ ছিল সেগুলো হচ্ছে- মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড, মেট্টো স্পিনিং মিলস, জাহিন স্পিনিং মিলস। এসব কোম্পানি দীর্ঘ দিন ধরে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। তাছাড়া এ তালিকায় আছে মালেক স্পিনিং। এ কোম্পানিটি নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়ে আসছে।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল