1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
টেকসই উন্নয়নে বিনিয়োগ বাধা দূর করতে হবে
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পিএম

টেকসই উন্নয়নে বিনিয়োগ বাধা দূর করতে হবে

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠকে। সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে বিনিয়োগের বাধা দূর করতে দুর্নীতি নির্মূল এবং সরকারের মানসিকতা পরিবর্তনের পাশাপাশি সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

উন্নয়ন ফোরাম বৈঠকের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তারা এই আহ্বান জানান। তারা রফতানি বহুমুখীকরণ ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা চান। সেই সঙ্গে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও সহায়তা চান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনের এ বৈঠকের আয়োজক হচ্ছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ। আজ বৈঠক শেষ হবে। বৈঠকের প্রথম দিন মূল অনুষ্ঠানসহ ৫টি অধিবেশন ছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গ করা বুধবার অনুষ্ঠিত বিডিএফ বৈঠকের অধিবেশনগুলো হল- ইফেকটিভ পার্টনারশিপ ফর ইমপ্লিমেন্টেশন দ্য এইট ফাইভ ইয়ার প্ল্যান এমং টু ওয়ার্ডস এসিভিং এসডিজিস, প্রাইভেট সেক্টর ইংগেজমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফ্যাসিলেটেশন, পার্টনারশিপ ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইটসফাইন্যান্সিং, ইনোভেটিভ ফাইন্যান্সিং ফর এ সেলফ-রিলায়েন্ট বাংলাদেশ এবং রুরাল ট্রান্সফরমেশন : ক্রিয়েটিং অপারচুনিটিজ ফর অল।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রাইভেট সেক্টর ইংগেজমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফ্যাসিলেটেশন শীর্ষক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন। আলোচক ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, ইউএসএআইডি’র পরিচালক জন স্মিথ শারেন, বিশ্বব্যাংকের প্রোগ্রাম লিডার ইয়োতাকা ইউসিনো এবং বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট রুবানা হক।

বক্তারা বলেন, প্রতিবছর কাজের বাজারে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ প্রবেশ করছে। এ প্রেক্ষাপটে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য পূরণে বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ জরুরি। এক্ষেত্রে সরকারকে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্পায়নের জন্য নীতি সহায়তা, ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন এবং বাণিজ্য বাড়াতে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত সহায়তার অভাব, প্রশাসনিক বাধা, দুর্নীতি এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সমস্যা দূর করতে হবে। রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ, বাজার বহুমুখীকরণ এবং দক্ষতা বহুমুখীকরণ করতে হবে।

ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, সরকার ২০২৭ সালের পরে উত্থাপিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় পণ্য ও বাজারের বৈচিত্র্য আনতে উৎসাহ দিচ্ছে। পাদুকা, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি, পাট এবং কৃষিভিত্তিক পণ্য রফতানি আয় বাড়াতে চেষ্টা করছে। ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইজ অব ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্স উন্নয়নে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংস্কারের পাশাপাশি ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস সূচকে অনেক অগ্রগতি হলেও এখনও অনেক দেশের পেছনে রয়েছে। এখন ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬। আমরা যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, এতে এই সূচকে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় জরুরি।

রুবানা হক বলেন, এলডিসি থেকে দেশ উত্তরণ হলে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে, তা মোকাবেলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি দরকার। বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয় ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। আরএমজি খাত তাদের পণ্য ও বাজারকে প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈচিত্র্যের চেষ্টা করছে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জয়েন্ট ভেঞ্চার উদ্যোগও হতে পারে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় পোশাক শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পও থাকা উচিত।

ইফেকটিভ পার্টনারশিপ ফর ইমপ্লিমেন্টেশন দি এইট ফাইভ ইয়ার প্ল্যান এমং টু ওয়ার্ডস এসিভিং এসডিজিস শীর্ষক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সচিব আবদুর রউফ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশের নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজিস ট্রিংক, ডিএফআইডির বাংলাদেশ প্রধান জুডিথ হাবার্টসন এবং ব্র্যাক গ্লোবাল ব্রান্ডের চেয়ারম্যান আমিরা হক।

ড. সামসুল আলম মূল প্রবন্ধে বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় আগামী পাঁচ বছরে ৭৭ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে ১ কোটি ৫ লাখ। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার দাঁড়াবে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশে।

এছাড়া অতিদারিদ্র্যের হার হবে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। পরিকল্পনার শেষ বছরে গিয়ে জাতীয় সঞ্চয়ের হার দাঁড়াবে জিডিপির ৩৬ দশমিক ২ শতাংশে। ২০২১-২৫ সাল পর্যন্ত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে সরকার। এসব লক্ষ্য পূরণে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা প্রয়োজন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা আমাদের কোনো বিষয় নয়। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছি। তাদের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা আশা করছি তাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন। কৃষি খাতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়নের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। আমাদের রয়েছে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। ই-কমার্স উন্নত হচ্ছে। এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং প্রসার লাভ করছে। মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারি।

ইনোভেটিভ ফাইন্যান্সিং ফর এ সেলফ-রিলায়েন্ট বাংলাদেশ শীর্ষক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং তৎপরতা গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে; যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে ওঠে। তাছাড়া দেশের উন্নয়নে নিজস্ব বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

শেয়ারবার্তা / হামিদ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ