ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এর সদস্যদের পুনর্মিলনীতেও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে কাজী সানাউল হককে ডিএসইতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি। সদস্যরা এখনো তার নিয়োগকে মেনে নিতে পারছেন না এবং পুনর্মিলনীতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ডিবিএ’র নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে ডিএসইর ক্লাবে পুনর্মিলনী ও বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় এই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসাইন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি ডিএসইর পর্ষদ সভায় কাজী সানাউল হককে এমডি করা নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পর্ষদের একটি অংশ সানাউলকে এমডি করার বিরোধিতা করলেও ডিএসই’র চেয়ারম্যান আবুল হাশেম বিষয়টি আমলেই নেননি। উল্টো সানাউলের পক্ষ নিয়ে তিনি বিরোধীতাকারীদের মামলা করার পরামর্শ দেন।
ডিবিএ’র এক সদস্য জানান, পুনর্মিলনীতে ডিবিএর সদস্যরা কাজী সানাউল হককে এমডি করার বিষয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরেও তাকে নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে দক্ষতার তুলনায় সানাউলকে অস্বাভাবিক বেতন দেওয়া হবে বলে সমালোচনা করেন ডিবিএর সদস্যরা। এছাড়া ডিএসইর পর্ষদের বিভক্তির মাধ্যমে সানাউলের নিয়োগ ও তার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
উল্লেখ্য, পর্ষদ সভায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের ৬ জন কাজী সানাউল হককে এমডি হিসাবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সম্মতি জানান। তবে তিনজন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকসহ ৪ জন তার বিষয়ে আপত্তি জানান। আপত্তি জানানো শেয়ারহোল্ডারদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এমডি নিয়োগে স্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি।
তারা অভিযোগ করেন, ডিএসইর এমডি নিয়োগের বিষয়ে পর্ষদ সদস্যদের নোটিশ করতে হয়। কিন্তু এবার কোন নোটিশ করা হয়নি। আবার এমডিকে পর্ষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানোর রীতি থাকলেও তা করা হয়নি। এছড়া আইসিবিতে থাকা অবস্থায় কাজী সানাউল হক’র বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ উঠে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে তাকে তলবও করা হয়। এ নিয়ে সাংবাদ মাধ্যমে লেখা লেখি হয়েছে। এমন বিতর্কিত ব্যক্তিকে ডিএসইর এমডি করা উচিত হবে না।
তবে এরপরও পর্ষদ সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ওইদিনই ডিএসই থেকে কাজী সানাউল হককে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিএসইসিতে আবেদন করা হয়। এরপর ১২ জানুয়ারি ডিএসই থেকে সানাউল হক’র বিষয়ে পর্ষদ সদস্যদের আপত্তিগুলো চিঠি দিয়ে বিএসইসিকে জানানো হয়। চিঠিতে, আপত্তিগুলো বিবেচনায় নিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমডি নিয়োগের প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য বিএসইসিকে অনুরোধ করা হয়।
এরপর ২২ জানুয়ারি কমিশন সভা করে বিএসইসি কাজী সানাউল হক-কে ডিএসইর এমডি হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস