ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উৎযাপনের ক্ষণ গণনার উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসইর ভবনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী উৎযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম এই ক্ষণগণনা উদযাপন উদ্বোধন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী উৎযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান, ডিবিএ, মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের নের্তৃবৃন্দসহ অনেকে।
ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাসেম বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উৎযাপনের ক্ষণ গণনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকলে আমরা যারা স্টক এক্সেচেঞ্জের পরিবারের সদস্য এবং যারা আমরা পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট আমরাও মনে করেছি আমাদের এধরণের একটা উদ্যোগ নেয়া দরকার। তারই ফলশ্রুতিতে আজকে আমাদের সীমিত অথচ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট আপনারা যারা আছেন তাদের সকলের প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর যে কাঙ্খিত সোনারবাংলা, সে প্রকৃত সোনারবাংলায় এবং ওনার স্বপ্ন, সে স্বপ্নে আমরা পৌঁছাতে পারবো।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আপনারা আলোচনায় শুনলেন যারা বঙ্গবন্ধুকে কাছে থেকে দেখেছেন, বলিষ্টভাবে দেখেছেন, যারা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন আপনারা স্মৃতিচারণ করবেন আমাদের আলোচনা অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, এই আয়োজনে যারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন, বিশেষ করে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান, ডিবিএর প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন, অন্যান্য পরিচালক, আমাদের ম্যানেজমেন্টসহ যারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ক্ষণ গণনা উৎযাপনে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, আজকের আয়োজনের প্রস্তাবক হানিফ ভূঁইয়া বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে স্বরণ করে সব জায়গায় সব কিছু হচ্ছে, সুন্দরভাবে, আমরাও যেন মুজিব বর্ষ পালন করি। আমাদের পরিচালকবৃন্দ যারা আছেন সবাই একবাক্যে তা গ্রহণ করেছেন।
রকিবুর রহমান বলেন, আজকের আয়োজনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমানের নের্তৃত্বে ডিবিএ’র দিলিপ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের সাইদুর রহমানসহ যে টিমটা হয়েছে, সেজন্য আমি বেশ আশাবাদী। যেহেতু বড় বড় অনুষ্ঠান করার তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেজন্য ওনার নের্তৃত্বে ডিবিএ-মার্চেন্ট ব্যাংকের টিম হয়েছে, সেজন্য আমি আমার চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে সংসদ্য সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, এখানে ৪২ বছর ধরে আছি। অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে কিন্তু কোনো দিন কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে সংবধর্ণ দেয়া হয়নি। ঘাটতি আছে। অতএব মাথা উচু করে দাঁড়াবো, সত্যি কথা বলবো। ভিতরে যদি রাজাকারী ভাব কারো থাকে মুছে দিয়েন, অবমূল্যায়ন করবেন না।
তিনি বলেন, এখনো আমরা আছি বলে আপনারা আছেন, দেশটা স্বাধীন না করলে কার বাপের কত সম্পদ ছিল, কে কোথায় বাড়ি করছে, গাড়ি করছেন সব আমাদের জানা। এদেশে কয়টি লোকের গাড়ি ছিলো। আমি ১৯৬২ সালে ঢাকায় আসছি। অনেক অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে দু:খ লেগেছে যখনি আমরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এসে রুজি-রোজগার করেছি সেইখানের মানুষের মানসিকতা দেখে আমি বারবার আহত হয়েছি। সবকিছুর পরে মুক্তিযোদ্ধা দেখলে মুখটা কুচকে আসে। দুর্ভাগ্য আমাদের। স্বাধীন দেখে এমনটা করবেন না।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করতেছি। এ আলোচনা প্রতি বছর হতে পারে। তার মৃত্যু বার্ষিকী এবং জন্ম বার্ষিকীতে হতে পারে। উনি জাতির জনক, উনিতো নির্দিষ্ট কোনো দলের সম্পদ নয়।
শেয়ারবার্তা/ সাইফুল