মার্চেন্ট ব্যাংক যে কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনা বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আনার কাজ করবে, সেই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। এমনকি ওই মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাও (সিইও) ওই কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন না।
পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি ‘মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার বিধিমালা, ১৯৯৬’-তে এমন সংশোধনী এনে গেজেট প্রকাশ করেছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩সনের ১৫ নং আইন) এর ধারা ২৪ এর উপ-ধারা (১) এর ক্ষমতাবলে এ সংশোধনী এনেছে।
সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও হিসাবে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি কোনো স্টক এক্সচেঞ্জের বা স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো টেকহোল্ডারের বা কোনো সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির বা কোনো ইস্যুয়ার কোম্পানির সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় ব্যাতীত অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবে জড়াতে পারবেন না।
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকার ইস্যু ব্যবস্থাপক হিসাবে যেই কোম্পানির ইস্যুর ব্যবস্থাপনা করবে, সেই কোম্পানির কোনো সিকিউরিটিজ সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ব্যাংকার বা উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও ক্রয় বা অন্য কোনোভাবে গ্রহণ করতে পারবেন না।
এতে আরও শর্ত রাখা হয়েছে- ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করা মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও কোনো মার্চেন্ট ব্যাংকারের শেয়ার হোল্ডার বা উদ্যোক্তা বা পরিচালক হিসাবে থাকতে পারবেন না।
শেয়ারবার্তা / আনিস