1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  3. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
বিনিয়োগ শিক্ষার আগ্রহের অভাব বিনিয়োগকারীদের
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ পিএম

বিনিয়োগ শিক্ষার আগ্রহের অভাব বিনিয়োগকারীদের

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০
bicm

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শিক্ষা গ্রহনে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের অভাব রয়েছে। তারা গুজব নির্ভর বিনিয়োগ করছে বলে বিনিয়োগ শিক্ষায় তাদের আগ্রহ নেই। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। এদের মধ্যে অনেকে বাজারে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে তাদের বেনিফিশিয়ারি একাউন্ট (বিও)। বিপরীত দিকে মাঝে মধ্যে বাজার ইতিবাচক হলে কিছু নতুন বিনিয়োগকারী আসে, নতুন বিও হিসাব খুলে তারা বাজারে বিনিয়োগ করে। কিন্তু যে হারে বাজারে বিনিয়োগ বা বিনিয়োগকারী বাড়ছে সেই হারে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কলা কৌশল জানার বা শিখার আগ্রহ নেই বিনিয়োগকারীদের।

আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ গুজবে বিনিয়োগ করে, বিনিয়োগ শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ কম। আর এ কারণে পুঁজি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ছে অনেক বিনিযোগকারী। তাই বিনিয়োগ শিক্ষার বিষয়ে প্রচারনা বাড়নোর পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আর এর মাধ্যমে বিনিয়োগ সুরক্ষা করতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। যা বাজারকে ইতিবাচক ধারায় ফেরাতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে কেউ বিনিয়োগে আগ্রহী হলে তাকে নূণ্যতম ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করা বাধ্যতামূলক করতে পারলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমে যেতো বলে মনে করছেন তারা।

এ সম্পর্কে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করার মতো যে জ্ঞান থাকা দরকার তা অনেকেরই নেই। একটি কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের পূর্বে কি কি বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে তা তারা জানে না। এ কারণে কোনো শেয়ারের দাম বাড়লে না বুঝেই সেখানে তারা বিনিয়োগ করে। আর যারা বুঝে তারা মুনাফা অর্জন করতে পারলেও অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারীই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর এ কারণে বিনিয়োগ করার পূর্বে বাজার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার বিকল্প নেই।

লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ হাউজে ট্রেড করেন বিনিয়োগকারী পলাশ। তিনি বলেন, যখন কোনো শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে তখন আমরা বিনিয়োগ করি। কিন্তু যেসব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শিক্ষা আছে তারা সেটা করে না, তারা দাম বাড়ার সময় বিক্রি করে বেরিয়ে যায়। যখন দাম কম থাকে তখন সচেতন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনে। একই সঙ্গে তারা কোম্পানির বিস্তারিত খোজ খবর নিয়েই শেয়ারে বিনিয়োগ করেন।

তিনি বলেন, আমি আগে সিকিউরিটিজ হাউজে গিয়ে দেখতাম, অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরা কোন শেয়ার কিনে, আমিও সেটা কিনতাম। কিন্তু তারা কখন বিক্রি করে সেটা তো জানতাম না। এ কারণে একাধিকবার আমি লোকসানে পড়েছি। এরপর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের নানা কলা কৌশল সম্পর্কে বিআইসিএম ছাড়াও একাধিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শেখার চেস্টা করেছি। এখন বুঝে শুনে বিনিয়োগ করি। এতে মুনাফা অর্জন করতে না পারলেও পুঁজি হারাচ্ছে না। তাই প্রত্যেকটা বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ শিক্ষায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া উচিত।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত তিন বছরে ১৩৩টি ইনভেস্টরস এডুকেশন প্রোগ্রামের মধ্যে বিনামূল্যে ৪ হাজার ৩৮৮ জনকে প্রশিক্ষিত করেছে বিআইসিএম। আলোচ্য সময়ে নামমাত্র ফি এর মাধ্যমে ৪৬টি সার্টিফিকেট ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে ১ হাজার ৬৪ জন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে ১৭০ জন এক বছর মেয়াদি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ক্যাপিটাল মার্কেট- পিজিডিসিএম প্রোগ্রাম শেষ করেছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, বাজারে বর্তমানে ২৫ লাখের উপরে বিও একাউন্ট রয়েছে। সেই হিসেবে বিনিয়োগ শিক্ষায় যে হারে অংশগ্রহন করেছে তা খুবই সামান্য।

শেয়ারবার্তা/ সাইফুল

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ