পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে এক গুচ্ছ প্রস্তাব প্রেরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রস্তাবনার মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ১০ হাজার কোটি টাকা বিতরণের কর্মসূচি অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, স্বল্প সুদে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ১০ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। ফান্ডটির বিতরণ ও মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রস্তাবনা অনুসারে, আলোচিত তহবিলের আকার হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। তহবিলের মেয়াদ হবে ৬ বছর। প্রস্তাবিত সুদের হার হবে ৩ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ। প্রথম ২ বছর হবে গ্রেস পিরিয়ড। এ সময়ে তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফেরত দিতে হবে না। পরবর্তী চার বছরে তা সুদ-আসলে ফেরত দিতে হবে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শুধু সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগের জন্য এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। আর এই সুবিধা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর, প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে বিতরণের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিলের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সেই প্রস্তাবের উপর মতামত ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদানের জন্য গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবসহ পুঁজিবাজারের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্টেকহোল্ডারদের আবেদন মোতাবেক পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া গেছে। তহবিলের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকও দিতে পারে কিংবা অর্থ মন্ত্রণালয়ও সরাসরি দিতে পারে। তবে তহবিলটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি আরো জানান, “পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনার আলোকে আমরা যত দ্রুত সম্ভব যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
শেয়ারবার্তা / আনিস