1. [email protected] : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক : শেয়ারবার্তা প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারবার্তা : nayan শেয়ারবার্তা
  3. [email protected] : news uploder : news uploder
গমের চাহিদা পুরোটা আমদানি নির্ভর হলেও আটা রফতানির পক্ষে সরকার
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম

গমের চাহিদা পুরোটা আমদানি নির্ভর হলেও আটা রফতানির পক্ষে সরকার

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২০

নানা কারণে দেশে গমের উৎপাদন কমছে। তাই দিন দিন বাড়ছে গম আমদানির পরিমাণ। বলা যায়, বর্তমানে গমের চাহিদার প্রায় পুরোটায় আমদানি নির্ভর। এ অবস্থাতে গম থেকে উৎপাদিত আটা রফতানির অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি চট্টগ্রামের মেসার্স তাহেরী ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেড বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাড়ে ২২ মেট্রিক টন আটা রফতানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। এর প্রক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে একটি চিঠি পাঠায়।

মতামত দিয়ে ট্যারিফ কমিশন বলছে, ‘রফতানি নীতি ২০১৮-২১’ এ রফতানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকা ও শর্তসাপেক্ষে রফতানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় যেহেতু আটা, ময়দা ও সুজি অন্তর্ভুক্ত নেই, সেহেতু এগুলো রফতানিতে কোনো সমস্যা নেই।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ প্রদানকারী সরকারি এ সংস্থাটি আরও বলছে, আটা, ময়দা ও সুজি মূলত গম থেকে উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশে মোট গমের চাহিদা প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন।

৫০ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে ২০১৭ সালে দেশে গম উৎপাদন হয়েছিল ১০ লাখ ৯৯ হাজার মেট্টিক টন। আর গম আমদানি হয়েছিল ৪৩ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টন, অর্থাৎ মোট সরবরাহকৃত গমের পরিমাণ ৫৪ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন।

২০১৮ সালে আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন, আর উৎপাদন হয় ১১ লাখ ৪৮ হাজার মেট্রিক টন।২০১৮ সরবরাহকৃত মোট গমের পরিমাণ ৬০ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন। আর ২০১৯ সালে নভেম্বর পর্যন্ত গম আমদানি হয় ৪৪ লাখ ২৩ হাজার মেট্রিক টন। পাশাপাশি উৎপাদন হয়েছে ১২ লাখ ৪৫ হাজার টন। অর্থাৎ, গত নভেম্বর পর্যন্ত সরবরাহকৃত মোট গমের পরিমাণ ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন।

ট্যারিফ কমিশন বলছে, গত তিন বছরের স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানির পরিমাণ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্থানীয় বাজারে সরবরাহের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত রয়েছে। তাই মেসার্স তাহেরী ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেডকে আটা রফতানির অনুমতি দিলে তা স্থানীয় বাজারে কোনো সমস্যা হবে না।

বিষয়টি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সম্প্রতি ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য সচিবের কাছে তাদের এ মতামত পাঠায়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আটা রফতানির বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। তিনি বলেন, যেহেতু চাহিদার তুলনায় বাজারে গম বেশি রয়েছে, তাই আটা রফতানির অনুমতি দেয়ার পক্ষে সরকার। যদি কখনো গমের ঘাটতি দেখা যায় তখন রফতানি বন্ধ করে দেয়া হবে।

এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) থেকে চলতি বছরের প্রথম দিকে বিশ্বের খাদ্যশস্যের উৎপাদন ও আমদানির চিত্র নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে সবচেয়ে দ্রুত হারে গমের আমদানি বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। পাঁচ বছর আগেও গম আমদানিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ দেশের তালিকার বাইরে ছিল বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে এই তালিকায় বাংলাদেশ পঞ্চম।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের প্রধান কাজ দেশীয় শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণ। বিভিন্ন পণ্যের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ে শুল্কহার হ্রাস-বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে যৌক্তিকতাসহ সরকারকে যথাযথ পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে কমিশন দায়িত্ব পালন করে থাকে।

শিল্প প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যের উৎপাদন খরচ, কাঁচামালের আমদানি ব্যয়, পণ্যের আমদানি ব্যয়, জনবল, উৎপাদন ক্ষমতা, মূল্য সংযোজন, উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমান ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে কমিশন সুপারিশ প্রণয়ন করে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বাজারের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়ে থাকে কমিশনের ‘মনিটরিং সেল’।

শেয়ারবার্তা / হামিদ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

ভালো লাগলে শেয়ার করবেন...

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ