এক অর্থবছরে রফতানি শূন্য হলে পরবর্তী অর্থবছরে কোনও প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে নগদ সহায়তা পাবে না।
আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের জারি করা সার্কুলারের বলা হয়েছে, রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কোনও অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ শূন্য হলে পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে নগদ সহায়তার আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রিন্সিপাল অফিসে পাঠানো সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, এক অর্থবছরে ৫০ লাখ ডলার মূল্যের বস্ত্র বা বস্ত্রসামগ্রী রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে, এসব প্রতিষ্ঠান কোনও বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন থাকতে পারবে না।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সব ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্পে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। তবে, বর্তমানে যেসব উৎপাদনকারী-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এক অর্থবছরে ৫০ লাখ ডলার মূল্যের বস্ত্র বা বস্ত্রসামগ্রী রফতানি করবে। পাশাপাশি কোনও বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন নয়, এমন প্রতিষ্ঠান পরবর্তী অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বস্ত্রশিল্প হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে।
প্রসঙ্গত, নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে এক শতাংশ হারে উৎপাদনকারী-রফতানিকারকদের বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাহাজীকরণ করা তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে এই সহায়তা দেওয়া হবে।
শেয়ারবার্তা / হামিদ