পরপর দুই কার্যদিবস বড় উত্থানের পর মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) লেনদেনের শুরুতেই বড় ধরনের পতন হয় উভয় পুঁজিবাজারে। লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৫০ পয়েন্ট পড়ে গেছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
শেয়ারবাজার বড় ধরনের ধসের কবলে পড়লে গত ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর শেয়ারবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে বিএসইসি।
এতে হতাশায় নিমজ্জিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। শেয়ারবাজারের ওপর বাড়ে আস্থা। ফলে রোববার (১৯ জানুয়ারি) মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়। পরদিন সোমবারও সূচকের বড় উত্থান অব্যাহত থাকে।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে পুঁজিবাজার উন্নয়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উদ্যোগে গঠিত সমন্বয় ও তদারকি কমিটি।
আইসিবির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক শেষে বিএমবিএ সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, বৈঠকে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটা বিষয় স্পষ্ট, পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও আগ্রহী। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নেয়া হবে।
বিএমবিএ সভাপতির এমন আশার বাণী শোনালেও আজ মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে।
এতে প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনের ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্ট পড়ে যায়। আর প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। এছাড়া লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৫টির। আর ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে পুঁজিবাজার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার দেশের শেয়ারবাজারে সাত বছরের মধ্যে সব থেকে বড় উত্থান হয়। একদিনেই ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ২৩২ পয়েন্ট বা সাড়ে পাঁচ শতাংশ।
শেয়ারবার্তা / আনিস