পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারীদের ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণের প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে গ্রীন সিগনালও দিয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পেলেই
অর্থ ছাড় শুরু করবে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির এ প্রতিশ্রুতি দেন। রোববার (১৯ জানুয়ারি) গর্ভনরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএমবিএ-এর নেতারা।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পর শিগগির বিস্তারিত ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় তারল্য সঙ্কট নিরসন ও প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যা নির্দেশনা আকারে জারি করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা বিরাজ করবে।’
বৈঠকে পুঁজিবাজারের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও প্রস্তাবিত বিশেষ তহবিল নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন গভর্নর।
বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব করা ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিবাচক বলে গর্ভনর জানিয়েছেন। ঋণের বিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে।
সভায় বিএমবিএ-এর সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের একটি প্রতিনিধি দল অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে শেয়ারবাজারে ছয়বছর সহযোগিতার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা চেয়ে প্রস্তাব দেয়। যা পুঁজিবাজারের সব মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
দ্বিতীয় বছর থেকে ৩ শতাংশ হারে সুদের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর চতুর্থ বছর থেকে আসলসহ সুদ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শেয়ারবার্তা / আনিস